ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: রাজধানীর গুলশানে সুলতান’স ডাইন শাখার কাচ্চিতে মাংস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ভোক্তা। এরপর শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমকে এর ব্যাখ্যাও দিয়েছে সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষ। আজ সেখানে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং টিম। অভিযানকালে সেখানে অননুমোদিত ফিরনি, কর্মীদের হাতে রোগ-জীবাণুসহ অপরিষ্কার পরিবেশ পাওয়া গেছে।
এই পরিস্থিতিতে সুলতান’স ডাইনকে ২০ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে অসংগতি ঠিক করার জন্য বলেছে সরকারের সংস্থাটি। গুলশানে সুলতান’স ডাইনে প্রায় দেড় ঘণ্টা অভিযান চালায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক (উপসচিব) মো. কাওছারুল ইসলাম সিকদারের নেতৃত্বে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব অভিরূপ সাহাসহ সংশ্লিষ্টরা অভিযানে অংশ নেন।
কাওছারুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘আমরা যে অভিযোগ পেয়েছি, তার ভিত্তিতে বলেছি সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে মাংস কিনতে। ভালো সোর্স থেকে আসছে, সেটা যেন তারা কেনে। যারা কর্মী, তারা যেন হাইজিন মেনটেইন করে। অ্যাপ্রন ও হ্যান্ড গ্লাভস পরবে, নিয়মিত হেলথ চেকআপ করবে। সব হোটেলের জন্য পালনীয় যে নির্দেশনা, তা ফলো করতে বলেছি। তাদের রান্না লাইভ করতে বলেছি।’
রমজানের আগে তাদের সময় দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হাইজিনিং চেক করার জন্য আমরা আবার যাব। এই সময়ে তাদের সংশোধন হতে হবে।’
যেখানে ডিশ ধোয়া হয় সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ছিল না। তার পাশেই টয়লেট। টয়লেট থাকলে সেখানে রোগ-জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এ বিষয়েও তাদের সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। রান্নাঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
তবে আজকের অভিযানে কোনো মোবাইল কোর্ট ছিল না, মনিটরিং ছিল। এ বিষয়গুলো ঠিক করার জন্য ২০ তারিখ (মার্চ) পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে সংশোধন করতে বলা হয়েছে।
সুলতান’স ডাইনের গুলশানের ম্যানেজার আশরাফ আলম বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের লোকজন এসেছিল। অনুমোদিত ভেন্ডর থেকে মালামাল নিতে বলেছে। আর হাইজিন মেনটেইন করতে বলেছে।’