ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে লোডশেডিং এর ঘোষণা আসার পর থেকেই হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে চার্জার ফ্যানের দাম। ২৭০০ টাকা মূল্যের ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৩১০০ থেকে ৪২০০ টাকায়। প্রতি ফ্যানে বাড়তি লাভ করছে ৪০০ থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া GFC বৈদ্যুতিক চার্জার ফ্যান একই দিনে বিভিন্ন দামে বিক্রয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটে বাজার অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার ও মো. মাগফুর রহমান।
এ সময় দুটি ইলেকট্রনিক্স দোকানে মালিককে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে দেখা যায়, কোন আমদানিকৃত অথবা দেশি উৎপাদিত মোরকজাত ইলেকট্রনিক লাইট, ফ্যানসহ বিভিন্ন পণ্যের মোড়কে আমদানিকারকের তথ্য ও মূল্য লেখা নেই। এতে যেকোনো সময় দাম বৃদ্ধি করা খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ হয়। ব্যবসায়ীরা পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার, তারিখ এবং স্বাক্ষরসহ সঠিক ভাবে সংরক্ষণে রাখেন না। আমদানিকারক কর্তৃক বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রী আমদানির সঠিক তথ্য প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত থাকে না।
অভিযানের বিষয়ে ফাহমিনা আক্তার বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের ৪৫ ধারায় আরাফাত ইলেকট্রনিক্সকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই দিনে ডিফেন্ডার নামক চার্জার ফ্যানের বিক্রয়মূল্য একেকজনের কাছে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা বেশি রাখায় স্কাইল্যাব ইলেকট্রনিক্সকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়। এছাড়া প্রেসিডেন্ট রেস্তোরাঁকে ৪৩ ধারায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।