ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বর্তমানে দেশে ডিম ও মুরগির উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে, তবে উৎপাদন স্বাভাবিক গতিতে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পোল্ট্রি খাতের ব্যবসায়ীরা।
রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পোল্ট্রি খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীদের আমরা যদি উজ্জীবিত না করতে পারি, তাহলে আমাদের সত্যিকারের উন্নয়ন হবে না। সে জন্য আমার প্রায় সব খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছি। এর মধ্যে আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, বিশেষ করে পোল্ট্রি খাতের ডিম, মুরগি ও এর বাচ্চার দাম কিভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, দেশের ছোট-বড় উৎপাদক থেকে শুরু করে বিপণনকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা জানিয়েছেন, পোল্ট্রির উৎপাদন পর্যায়ে কিছুটা সমস্যা আছে। তারপর বড় উৎপাদনকারীরা বলেছেন তারা উৎপাদন এখন বাড়াবেন।
তিনি আরও বলেন, বিপণন পর্যায়ে আমরা বলেছি, উৎপাদন খরচের বাইরে অস্বাভাবিক মুনাফা করা যাবে না। উৎপাদনকারী ও ভোক্তার মধ্যে দামের বিরাট ব্যবধান থাকবে না। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশন আছে, তারা এ বিষয়টা দেখবে।
সিন্ডিকেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীদের স্বভাব হয়ে গেছে, তারা একটু বাড়তি মুনাফার চেষ্টা করে সবসময়। কথায় আছে না, তারা ইল মাছের মতো, ধরা কঠিন। পিছলে যাচ্ছে। তবে এখন থেকে এগুলো ধরা সম্ভব হবে।
ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেশি সমস্যা হলে ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে সেটি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর করবে। ট্যারিফ কমিশন আছে, তাদের সহযোগিতা নিতে পারে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের বলেছি, এখন তেলের দাম কমেছে, আপনাদের পরিবহন খরচ কমে যাবে। জিনিসপত্রের দাম নামাতে হবে। বাংলাদেশে একবার দাম উঠলে আর নামে না, সেটা হবে না।
নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পণ্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখন যে পণ্যমূল্য, তা খুব যে খারাপ সেটা বলা যাবে না। আমরা মোটামুটি সন্তোষজনক অবস্থায় নিয়ে এসেছি। এটাকে আরও সুখকর করা যায় কি না সে চেষ্টা করা হচ্ছে।