ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: আবারও কাঁচা মরিচের দাম বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার পাইকারীতে যে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, বুধবার সেই কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকায়।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের পাইকারি আড়তে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
পাইকারি বাজার থেকে এসব কাঁচা মরিচ রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে চলে যাচ্ছে। সেখানে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০০ বা তারও বেশি। বুধবার তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা মহানগরসহ দেশের সকল বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে কাঁচা মরিচের মূল্য এবং চিনির মূল্য ও মজুদসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তদারকির লক্ষ্যে বাজার অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
গত দুই দিনও কাওরান বাজারে অভিযান চালিয়েছিল ভোক্তা অধিদপ্তর। সে সময় ব্যবসায়ীদের ক্রয় মূল্য এবং বিক্রয় মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সে নির্দেশনা মেনে কাওরান বাজারের একজন পাইকারি মরিচ ব্যবসায়ী ছোট কাগজে মরিচের ক্রয় এবং বিক্রয় মূল্য লিখে টানিয়ে রেখেছেন। সেখানে দেখা যায়, ক্রয় মূল্য লেখা রয়েছে ৩৭০ টাকা এবং বিক্রয় মূ্ল্য লেখা রয়েছে ৩৮০ টাকা। এছাড়া এসব পাইকারি ব্যবসায়ীরা ক্রয় ভাউচারও সংগ্রহে রেখেছেন।
একদিনের ব্যবধানে কেন মরিচের দাম আবারও বেড়ে গেল? এই তথ্য জানতে এসব পাইকারি ব্যবসায়ীরা যে আড়ৎ থেকে কাঁচা মরিচ কিনেছে তাদের সন্ধানে নামে ভোক্তা অধিদপ্তর।
আড়তে গিয়ে দেখা যায়, আড়তদার বিভিন্ন বাহানায় মরিচের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এছাড়া তাদের কাছে কোনো ক্রয় ভাইচার নেই। ভোক্তা স্বার্থ বিরোধী এই অপরাধে কাওরান বাজারের এক আড়তদারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কাওরান বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল ও সহকারী পরিচালক ফারহানা অজন্তা।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ভোক্তা অধিদপ্তরের তিনটি টিম অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়াও অন্যান্য বিভাগীয় শহরসহ ৩৭টি জেলায় একযোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
ঢাকা মহানগরীর কারওয়ান বাজার, কাঁঠালবাগান কাঁচা বাজার, তেজকুনি পাড়া কাঁচা বাজার, যাত্রাবাড়ি কাঁচা বাজার, দয়াগঞ্জ কাঁচা বাজার, ধলপুর কাঁচা বাজার, ডেমরা কাঁচা বাজার, শনির আখড়া কাঁচা বাজার ও মতিঝিল এজিবি কলোনি কাঁচা বাজার এলাকায় মরিচের বিক্রয় মূল্য ও ক্রয় মূল্য যাচাই করা হয়।
ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাঁচা মরিচের মূল্যের পাশাপাশি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সারাদেশে একযোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সারাদেশে ৪০টি বাজার অভিযানে ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
-এসআর