উলটা ভূত রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিলো ভোক্তা অধিদপ্তর

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: অনিয়মের অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডির উলটা ভূত রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

রোববার দুপুরে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক বা ম্যানেজারকে না পেয়ে উপস্থিত দায়িত্বরত কর্মকর্তা এবং বাড়ির মালিকসহ স্থানীয়দের উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান ও সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল।

জানা যায়, উলটা ভূত রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে কয়েকজন শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। পরে ভুক্তভোগীরা ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, ফ্রিজের মধ্যে রান্না করা খাবার এবং কাঁচা খাবার একসঙ্গে রাখা হয়েছে। বাসি এবং পঁচা খাবার সংরক্ষণে রাখা হয়েছে। যা ভোক্তাদের খাওয়াতো। এছাড়া ফ্রিজ এবং রান্নাঘরের পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন, নোংরা। রান্নাঘরের মেঝেতে খাবার খোলা অবস্থায় রাখা হয়েছে। তেলাপোকা, ইদুর যেকোনো সময় এসব খাবারের ভিতর চলাচল করতে পারে এমন পরিবেশ দেখা যায়।

পরে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজারকে আসতে বললে তিনি ভয়ে সেখানে উপস্থিত হোননি। কয়েকবার যোগাযোগ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। দায়িত্বরত ব্যক্তিরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেন। এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি জনস্বার্থে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন আব্দুল জব্বার মণ্ডল।

বাড়ির মালিককে সম্পূর্ণ অপরাধের বিবরণ দিয়ে তার উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে নির্দেশনা দেওয়া হয়, ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিত না দেওয়া পর্যন্ত ভূত রেস্টুরেন্ট খুলতে পারবে না।

বাড়ির মালিক সমস্ত সিদ্ধান্ত এবং নির্দেশনা মেনে নেন। এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

বাড়ির মালিক জানান, কয়েক মাস ধরে তাকেও ভাড়া দিচ্ছেন না প্রতিষ্ঠানটি।

অভিযানের বিষয়ে আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধানমন্ডির ভূত রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে এসে যে পরিবেশ দেখতে পাই তাতে এসব খাবার খেলে মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। ফ্রিজের মধ্যে পঁচা-বাসি খাবার, নোংরা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। সবই ভোক্তা স্বার্থবিরোধী অপরাধ। এসব অপরাধ আমলে নিয়ে ভূত রেস্টুরেন্টকে জনস্বার্থে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।