ঢাকা, ২২ মে বুধবারঃ নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন বাজারেই চলে এসেছিল ‘ল্যাংড়া’ জাতের আম। যাত্রাবাড়ীর ফলের আড়তে এসব আম শোভা বাড়াচ্ছিল অসাধু ব্যবসায়ীদের ঝুড়ির, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। আজ সকালে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে কৃষি অধিদফতর, বিএসটিআই এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সহযোগিতায় যাত্রাবাড়ীর ফলের আড়তে অভিযান চালায় র্যাব-১০ এর সদস্যরা।
অভিযানের শুরুতেই অনেক ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এসময় র্যাব সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক ব্যবসায়ী দাবি করেন, বাগান মালিকদের চাপাচাপিতে তারা আম কিনে দেখে, সবই কাঁচা। এরপর আর্থিক ক্ষতি এড়াতে রাসায়নিক মিশিয়ে কৃত্রিমভাবে আম পাকানোর ব্যবস্থা করে।দেশের বিভিন্ন বাজারের আম রাজশাহী অঞ্চল থেকেই বেশি আসে। এবার রাজশাহীর প্রশাসন বাগান থেকে বিভিন্ন ধরনের আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, ২২ মে পর্যন্ত শুধু গুটি ও গোপালভোগ আমই পাড়া যাবে। এরপর ২৫ মে লক্ষণভোগ ও লখনা, ২৮ মে হিমসাগর ও খিরসাপাত আম পাড়া হবে। ৬ জুনের পর বাজারে আসবে ল্যাংড়া ও বোম্বাই। ফজলি, সুরমা ফজলি ও আম্রপালি আসবে ১৬ জুন থেকে।
অভিযানে মা এন্টার প্রাইজ, সাদ্দাম এন্টার প্রাইজ ও নাঙ্গলকোট এন্টারপ্রাইজকে ৪ লাখ, নান্নু এন্টারপ্রাইজ ও সজীব এন্টারপ্রাইজকে ৩ লাখ, বন্ধু বাণিজ্যালয় ও মাদারীপুর বাণিজ্যালয়কে ২ লাখ, চন্দ্রপুরী সবজি ভান্ডার ও সাবিহা বানিজ্যালয়কে ১ লাখ টাকা হিসেবে সর্বমোট ২৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় উপস্থিত, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খেলে পেটের অসুখ, জন্ডিস, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, লিভার ও কিডনি নষ্ট হওয়াসহ ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ হতে পারে। এর প্রভাবে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হতে পারে।