ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই সচল হতে যাচ্ছে দেশের অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) শর্ত পূরণ করে ‘ফল সেমিস্টার’ থেকে সশরীরে ক্যাম্পাসে পাঠদান শুরু করতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিন নির্ধারণ করেছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগামী ৭ অক্টোবর থেকে রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক তারা ক্লাসে পাঠদান শুরু করার প্রস্তুতি শুরু করেছে। তবে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হলেও অনলাইনে নিয়মিত ক্লাস করানো হবে।
জানতে চাইলে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম জানান, আগামী ৭ অক্টোবর থেকে আমাদের ফল সেমিস্টারের পাঠদান শ্রেণিকক্ষে শুরু করা হবে। একাডেমিক কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ৯৫ শতাংশ করোনা টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদেরও অধিকাংশ টিকার আওতায় এসেছে। তবে যারা এখনো টিকা পাননি তারাও ইউজিসির দেওয়া লিংকে প্রবেশ করে রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আবু সাদাত বলেন, আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কয়েকটি ভাগে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হবে।
আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. মোশারফ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কবে থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু করা হবে সে সিদ্ধান্ত নিতে চলতি সপ্তাহে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরুর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, দেশে ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটির পাঠদান এখানো শুরু হয়নি। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় সচল রয়েছে তারা আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ ও দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, সকলের টিকা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেটি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাসে পাঠদান পরিচালনা করা হবে। যদি কারো উদাসীনতার কারণে কেউ করোনায় আক্রান্ত হন তবে তার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।