করোনা রোগীদের সেবায় অক্সিজেন নিয়ে একদিকে স্বেচ্ছাসেবক তরুণরা শহরের আনাচে-কানাচে যেমন ছুটছেন, অন্যদিকে অক্সিজেনের এ বাড়তি চাহিদাকে কেন্দ্র করে চলছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর লুটপাট। গত কয়েক মাসে অক্সিজেন রিফিল মূল্য বেড়ে গেছে চারগুণ। জরুরি সময়ে সিলিন্ডার নিতে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জামানত দিতে বাধ্য হচ্ছেন স্বজনরা। অথচ লাগামহীন এ বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই কর্তৃপক্ষের নজরদারি।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে মিরপুর, উত্তরা থেকে নারায়ণগঞ্জ। দূরত্ব যাই হোক সম্পর্কটি প্রতিবেশীর। রাতদিন ২৪ ঘণ্টা জরুরি ফোন পেয়েই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে দূত হয়ে শহরের অলিগলিতে ছুটছেন স্বেচ্ছাসেবক তরুণরা। পরামর্শ দিতে জেগে থাকেন তরুণ চিকিৎসকরাও।
সময় নিউজের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবক চিকিৎসক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, কেউ কারোনা বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়। অনেক সময় যখন দেখা যায় ওই রোগীর অক্সিজেন লেভেল ৯০-এর নিচে নেমে যাচ্ছে তখন তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
যতটুকু সাধ্য, তা নিয়েই সর্বোচ্চ চেষ্টাই যখন কারো মূলমন্ত্র, তখন অনেকে জীবন বাঁচাতে ছুটছেন অক্সিজেন ভাড়া নেয়া যায়, এমন দোকানে। যেখানে কখনো কখনো জামানতই গুনতে হচ্ছে ১০ হাজার টাকা। সিলিন্ডার প্রতি দৈনিক ভাড়া ২০০-৩০০ টাকা। রিফিল খরচও গত কয়েক মাসে ৮০ টাকা থেকে ঠেকেছে ৩০০ টাকায়। তারপরও অনেকে বাধ্য হয়ে কিনছেন।এদিকে, নিয়ন্ত্রণহীন বাজার করোনা মহামারিকে আরো জটিল করে তুলতে পারে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী।কোভিড সংক্রমণের কারণে বেড়েছে ফেসবুক ও অনলাইনভিত্তিক শতাধিক প্রতিষ্ঠান। খরচ বেড়ে যাওয়ায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকটে পড়েছেন বলে জানান তারাও।