বিইআরসি জুন মাসের জন্য দেশের বাজারে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজির দাম আরেক দফা কমিয়েছে। ৮৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ কেজির সিলিন্ডারের জন্য, যা আগে ছিল ৯০৬ টাকা।
ভোক্তা পর্যায়ে জুন মাসের জন্য প্রতিকেজি এলপিজির দাম ঠিক হয়েছে মূসক ছাড়া ৬৫ টাকা ৭২ পয়সা, যা মূসকসহ ৭০ টাকা ১৭ পয়সা পড়বে। সে অনুযায়ী ১২ কেজি, ১৮ কেজি, ২০ কেজি, ২৫ কেজি, ৩০ কেজি বা অন্যান্য ওজনের সিলিন্ডারগুলোর দাম ঠিক হবে। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সৌদ আরমকো কোম্পানির দামের সঙ্গে সমন্বয় করে সোমবার এলপিজির এই নতুন দর ঘোষণা করেছে বিইআরসি।
মে মাসের কন্ট্রাক্ট প্রাইসের ভিত্তিতে জুন মাসের বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মে মাসে সৌদি আরামকোর প্রোপেনের দাম প্রতি মেট্রিক টন ৪৯৫ ডলার এবং বিউটেন প্রতি মেট্রিক টন ৪৭৫ ডলার ছিল। ৩৫ অনুপাত ৬৫ হিসাবে প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ করার পর গড় মূল্য দাঁড়ায় প্রতি টন ৪৮২ দশমিক ৫০ ডলার, যা এপ্রিল মাসের তুলনায় ৫৮ দশমিক ৫০ ডলার কম। সেই বিবেচনায় দেশের বাজারের জন্য জুন মাসের নতুন দার ঠিক করা হয়েছে বলে জানান, চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড পদ্ধতি) এলপিজির দাম প্রতি লিটার ৬৩ টাকা ৪৭ পয়সা (মূসকসহ ৬৭ টাকা ৮৭ পয়সা) ধরা হয়েছে। মে মাসে এই দর ছিল ৭৩ টাকা ২০ পয়সা।
১২ এপ্রিল প্রথমবারের মত দেশে এলপিজির দাম নির্ধারণের পর মাসে মাসে সৌদি আরমকোর কন্ট্রাক্ট প্রাইসের ওপর ভিত্তি করে দাম পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সে অনুযায়ী এ নিয়ে দুইবার দাম পুনর্নির্ধারণ করা হল। দুইবারই ধাপে ধাপে দাম কমে এসেছে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘কেউ নির্ধারিত দামের কমে বিক্রি করতে পারে। কিন্তু বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না। কমিশনঘোষিত মূল্যহার বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন যাতে ভূমিকা রাখতে, সে জন্য বাণিজ্যসচিব ও জ্বালানিসচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-বিইআরসির সদস্য মোহম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান ও মো. কামরুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব রুবিনা ফেরদৌসী।