খুলনায় অন্যান্য নিত্য পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বেড়েছে তরমুজ, ডাব, কলা, তাল, আনারস, বাঙ্গির দাম। বাজারে আম আসতে শুরু করলেও দামের জন্য কিনতে পারছেন না ক্রেতারা।
খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আকারভেদে প্রতি পিস ডাব ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। কোনো কোনো বিক্রেতা ডাব একটু বড় হলেই তার দাম হাঁকছেন শত টাকা। যা স্মরণকালের সর্বোচ্চ হওয়ায় অনেকেই না কিনে ফিরে যাচ্ছেন।
বিকে রায় রোডের ডাল মিল মোড়ে ডাব বিক্রেতা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘গত কিছু দিন আগেও ডাব পাইকারি কেনা সম্ভব হয়েছে ২৫/২৬ টাকা পিস। কিন্তু এখন তা কিনতে হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকায়। ফলে বাধ্য হয়ে দাম বাড়াতে হচ্ছে।’
উপকূলীয় জেলা খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা তথা দক্ষিণাঞ্চলে মাটিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সঠিক পরিচর্যার অভাব, পোকা মাকড়ের আক্রমণ, ভাইরাসের সংক্রমণসহ নানা কারণে নারিকেল উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।
গত কয়েক বছরে এ অঞ্চলে নারিকেলের ফলন অর্ধেকে নেমে এসেছে। বিশেষ করে এবার খুলনা অঞ্চলে প্রায় টানা আট মাস বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নারকেল গাছে ডাব ধরে তা শুকিয়ে পড়ে যাচ্ছে। ফলে একদিকে ডাব ও নারিকেলের মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডাবের উৎপাদন কম হলেও তরমুজ, বাঙ্গির উৎপাদন হয়েছে বাম্পার। কিন্তু ডাবের দাম বাড়তি থাকায় অন্যান্য পানি জাতীয় ফলের দামও রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
বিক্রেতারা বলছেন, এই গরমে ডাবের চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু সেই চাহিদা অনুযায়ী ডাবের সরবরাহ অত্যন্ত কম। দীর্ঘ দিন ধরে খরার কারণে এবার নারকেল গাছে ফলন খুবই কম উৎপাদন হয়েছে। যে কারণে দাম অনেক বেশি।