ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন রোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন হাটকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। ডিএনসিসির ডিজিটাল হাটে ই-ক্যাব এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের খামারিরা পশু বিক্রি করতে পারবেন।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এখন যে অবস্থা সেই অবস্থায় পশুর হাট বসবে কি না সেটা সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসবে। আমাদের সঙ্গে সরকারের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। পশু বিক্রির কী কী নিয়ম মানতে হবে, কী কী তথ্য থাকতে হবে তা উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গ্রাহককে সময় মতো কোরবানির পশু দিতে না পারলে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই প্লাটফর্মে ই-ক্যাব এবং বিডিএফএর অনুমোদিত সদস্যের প্রতিষ্ঠান কেবল অংশ নিতে পারবে। এছাড়া জেলা প্রশাসকদের অনুমোদিত বিক্রেতারা তাদের পশু বিক্রি করতে পারবে।
হাট মানেই প্রচুর লোকের সমাগম। যে কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। এ বিষয়ে আমরা একটি প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। সরকারি আয়োজনে কোনো দামাদামি না করে একদামে অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি করা যেতে পারে। তারপরও যদি হাট বসাতেই হয়, সেক্ষেত্রে কার্যকরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। করোনায় হাট যত কম করা যায়, ততই উত্তম। হাট মানেই অতিরিক্ত মানুষের আনাগোনা, জানান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী।
ডিজিটাল হাটকে আরও জনসম্পৃক্ত করার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, গতবার ডিজিটাল হাটে তিন সপ্তাহে আমরা বিক্রি করেছিলাম ২৭ হাজার গরু। আর এবার এক লাখ গরু অনলাইনে বিক্রি করার টার্গেট রয়েছে। এক লাখ গরু বিক্রি করতে পারলে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষকে আমারা হাটে আসা থেকে বিরত রাখতে পারব।