রাজধানীসহ দেশের অভিজাত থেকে মধ্যবৃত্ত এমনকি নিম্ন মধ্যবিত্তরা বর্তমানে অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেসগুলোয় ঝুঁকছেন। তার একটাই কারণ এখন, তা হল এই লকডাউন। লকডাউনে সেফটি এর কথা চিন্তা করে বা বাহিরে যাওয়ার রিস্ক না নিয়ে অনলাইন শপিং কেই বেছে নেয়।তবে পণ্য হাতে পাওয়ার পর এ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই ক্রেতাদের।
ইদানীং প্রায়ই ক্রেতাদের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে মার্কেটপ্লেসের ভিন্নতায় পণ্যের দামের ভিন্নতা নিয়ে। অনেক ক্রেতা অভিযোগ করছেন ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত ছবির সঙ্গে পণ্যের মিল নেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যথাযথ তদারকি না থাকায় এমন প্রতারণার সুযোগ নিচ্ছে কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কেন্দ্রে অভিযোগের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক ক্রেতা এ তথ্য না জানায় এ ধরনের কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। অনলাইন শপিংয়ের নিয়মিত কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে রকম পণ্যের ছবি দেখে তারা অর্ডার করেছেন, সে রকম পণ্য পাঠানো হচ্ছে না। ক্ষেত্রভেদে খুবই নিন্মমানের পণ্য আসছে। এ ধরনের অভিযোগ বেশি আসছে মোবাইল হ্যান্ডসেট, হাতঘড়ি, ব্লেজার, শাড়ি প্রভৃতি পণ্য নিয়ে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইন কেনাকাটায় মানুষের আগ্রহ যেমন বাড়ছে, তেমনি অভিযোগ বাড়ছে। একই ব্র্যান্ডের পণ্য একেক সাইটে একেক রকম দাম। এতে একেক গ্রাহকের একেক রকম অভিজ্ঞতা হচ্ছে। নতুন করে যেসব উদ্যোক্তা ই-কমার্স ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বা নতুন করে আসছে তাদের অনেকেরই অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে দক্ষ ধারণা নেই। কিছু অদক্ষ ব্যবসায়ীদের জন্য দক্ষ ব্যবসায়ীদেরও মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ খাতের উদ্যোক্তাদের একটি সংগঠন থাকলেও তাদের কাজের গতি সন্তোষজনক নয়।
আমরা এরকম ভোক্তা হয়রানি বা অভিযোগ অনেক পেয়ে থাকি আমাদের সোসাল মিডিয়া গুলোতে কিন্তু অনেকেই জানেনা এইসব বিষয়ের ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ ও নেয়া যায়। যার ফলে অনেকেই অনিয়ম করেও পার পেয়ে যাচ্ছে । সেজন্যেই আমাদের উচিত ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা এবং কিভাবে ভোক্তা অভিযোগ দিতে হয় সে বিষয়েও সঠিক তথ্য দেওয়া ।