পণ্যের লেভেলে দেয়া মূল্য থেকেও বেশি দাম নিচ্ছে পান্ডাশপ এবং অনলাইনে পেমেন্ট দেয়ার পর খাবার এবং রিফান্ড কোনটিই পায় নি। ফুডপান্ডা এবং পান্ডাশপের’র বিরুদ্ধে এমন দুটি অভিযোগ করেছেন দুইজন ভোক্তা।
‘ফুড পান্ডা’ হচ্ছে অ্যাপসভিত্তিক একটি সেবাধর্মী সার্ভিস। তাদের অ্যাপস ব্যবহার করে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের খাবারের অর্ডার দেওয়া যায়। অর্ডার অনুসারে তারা নির্দিষ্ট ঠিকানায় খাবার পৌঁছে দেয়। এছাড়াও তারা পান্ডাশপের মাধ্যমে গ্রোসারি পণ্য অর্ডার অনুসারে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দেয়।
প্রথম অভিযোগকারী সারহান সাজিদ জানান, তিনি খুলনার বইকালি বাজার থেকে পান্ডাশপের মাধ্যমে সুমাইয়া স্টোর থেকে ১৬০ টাকা করে ১১ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৪০ টাকা কেজি দরে এক কেজি এ সি আই সল্ট অর্ডার করেছেন। কিন্তু পণ্য হাতে পেলে তিনি দেখেন যে,পণ্যের লেভেলের দামের থেকে বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে। যেখানে তিনি ১৬০ টাকা করে কেজি প্রতি তেলের দাম দিয়েছেন সেখানে তেলের বোতলে ১৩৯ টাকা লিখা কেজি প্রতি এবং এ সি আই সল্ট এর পরিবর্তে ৩২ টাকা কেজি দরে এক কেজি কনফিডেন্স লবন।
তিনি আরো জানান, দাম বেশি নেয়া হয়েছে এবং চাহিদা অনুযায়ী পণ্য না পেয়ে তিনি ফুডপান্ডার হেল্প সেন্টার এবং এরিয়া ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা পণ্যের ছবি এবং অর্ডারের বিবরণ তাদের নিকট পাঠাতে বলে। কিন্তু সকল প্রমাণ পাঠানোর পরও তাদের থেকে কোনো প্রকার সাড়া আসে নি বলে জানান ভুক্তভোগী।
দ্বিতীয় অভিযোগকারী কানিজ ফাতেমা জানান, তিনি অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে রাতের খাওয়া অর্ডার করেন। কিন্তু অর্ডারের পর ২ ঘণ্টা অতিক্রমের পরও খাবার না পেলে তিনি তাদের জানালে তারা ভুক্তভোগীকে আশাসরূপ কোনো উত্তর দিতে পারেনি, পরবর্তীতে তিনি টাকা রিফান্ড কিংবা ভাউচার চাইলে তারা কোম্পানির পলিসির বাহিরে বলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
অনলাইনে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো বিশ্বাসযোগ্য সাইট বা পেজ থেকে অর্ডার করা উচিত এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে অগ্রিম মূল্য পরিশোধ না করে ক্যাশ অন ডেলিভারী নিয়মটি মেনে চললে সেই সাথে পণ্যের ব্যাপক পজেটিভ রিভিও দেখে পণ্য ক্রয় করলে প্রতারণার ঝুঁকি অনেকটায় কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখিত দুজন ভুক্তভোগীর অভিযোগটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৬৬ ধারা অনুযায়ী একজন ভোক্তা চাইলে অধিকার আদায়ে দেওয়ানী আদালতে মামলা করতে পারে।
আমাদের সকলের উচিত এইসব বিষয়ে একটু সচেতন হওয়া এবং অন্যকেও সচেতন করা। আপনার আশেপাশের কেউ কিংবা আপনি নিজে প্রতারিত হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কেন্দ্রে অভিযোগ করতে পারেন। তবে জেনে রাখা জরুরি, প্রতিকারের উদ্দেশ্যে অভিযোগ করলে অবশ্যই তার প্রমাণ থাকতে হবে।
ভোক্তাকন্ঠ/এইচ এম