লকডাউনের প্রথম দিনেই চাকরিজীবী মানুষকে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। অধিকাংশ অফিসগামী মানুষকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছে দেখা গেছে। রিকশা সিএনজি দ্বিগুণের বেশি ভাড়া হাঁকিয়েছে। তবে কোথাও গণপরিবহন দেখা না গেলেও নগরীর বড় বড় ট্রাফিক সিগনালগুলোতে যানজট দেখা গেছে। আর স্টাফ বাহনগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা ছিল না।
গার্মেন্টসের কর্মকর্তা রায়হান মিয়া বলেন, গার্মেন্টস খোলা, অফিস আদালতও চলবে, বইমেলাও চলবে, শুধু গণপরিবহন বন্ধ। তাহলে এই কর্মক্ষেত্রগুলোতে কর্মরত মানুষগুলো কীভাবে যাতায়াত করবে?’
তিনি বলেন, ‘এখান থেকে আমার অফিসে যেতে অন্য সময় রিকশায় ৬০ টাকা নিত। আজ ভাড়া চাচ্ছে ১০০ টাকা। তাও ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে দুটি রিকশা ফাঁকা পেয়েছি। মনে হচ্ছে এখন হেঁটেই অফিসে যেতে হবে।’
দীর্ঘসময় অপেক্ষা করেও রিকশা না পেয়ে হেঁটেই অফিসে যেতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কাকরাইল, পান্থপথ, ফার্মগেট, শ্যামলীসহ বেশ কিছু বড় বড় ট্রাফিক সিগন্যালে যানজটও দেখা গেছে। কোথাও কোথাও দুই একটি গণপরিবহনও দেখা গেছে।
নগরীতে স্বাস্থ্যবিধি পালন করে স্টাফ বাস চলাচলের অনুমতি থাকলেও তাতে প্রতিটি আসনে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। সকালে স্টাফ বাস লেখা এমন বেশ কয়েকটি বাসে এমন চিত্র চোখে পড়ে।
এদিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তিগত পরিবহন, সিএনজি, রিকশা, লেগুনা ও মোটরসাইকেল পরিবহন করতে দেখা গেছে। এসব যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধির মানা হচ্ছে না। নগরীর রাজারবাগ মোড়ে যাত্রী পরিবহনের দায়ে কয়েকটি মোটরসাইকেলকে আটকাতে দেখা গেছে।
কোনও পরিবহন না পেয়ে বাসা থেকে হেঁটেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্দেশে রওন দিয়েছেন সংস্থাটির পরিবহন বিভাগের কর্মচারী নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রিকশা সিএনজি অনেক ভাড়া চাচ্ছে। তাই চিন্তা করলামে ৩০ মিনিট হাঁটলে অফিসে পৌঁছে যেতে পারবো। এখন হাঁটা শুরু করেছি।’