নাসিব ইমতিয়াজ চৌধুরী: সপ্তাহের মাঝবরাবর কিছুটা নিম্নমুখী রয়েছে শাক-সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। গত বছরের শেষ দিকে এবং চলতি বছরের শুরুতে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকলেও বর্তমানে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া বাজার ঘুরে দেখা যায় সবজিভেদে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। সবজির পাশাপাশি কমেছে সব ধরনের শাকের দাম। মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে । তবে বাড়তি রয়েছে ভোজ্যতেল ও ডিমের দাম। অন্যদিকে অপরিবর্তিত আছে গরু-খাসি-মুরগির মাংস, চাল ও ডালের দাম।
আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শুক্রাবাদ বাজার, টাউন হল বাজার, মোহাম্মাদপুর বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে এসব বাজারে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং আধা কাঁচা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৩৫ থেকে ৮০ টাকা, পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙা-ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া আঁটি প্রতি কচুশাক বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৭ টাকা, লালশাক ৮ টাকা, মুলা ১০ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউশাক ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
দাম কমেছে পেঁয়াজের। দুই দিন আগেও দেশি পেঁয়াজ ১৭০ টাকায় বিক্রি হলেও ২০ টাকা কমে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজিদরে। দাম কমেছে কাঁচামরিচের,কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত।
কিছুটা ঠান্ডা হাওয়া বইছে মাছের বাজারেও। প্রতিকেজি শিং বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, মলা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাচকি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট পুঁটি (তাজা) ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, , পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা আর দেশি চিংড়ি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, আকারভেদে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
প্রতিকেজি ব্রয়লার ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, লেয়ার ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি ২০০ থেকে ২৬০ কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, খাসি ৭৮০ টাকা, ছাগলের মাংস ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে এসব বাজারে।
নাজমুল নামে শুক্রাবাদ বাজারের এক ক্রেতা ভোক্তাকণ্ঠকে বলেন, সব ধরনের বাজারের দাম অনেকটাই কমেছে তবে মাছ-মাংসের দাম আরও কম হওয়া উচিৎ। সরকারিভাবে ও ভোক্তা অধিদপ্তরের নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে পেঁয়াজের মতো সবজিবাজারেও অস্থিরতা থাকবে না। সব কিছুর দাম কমে আসবে বলে আশা করা যায়।
তবে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল ও ডিম। দাম। বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে বেড়েছে ৫ টাকা। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে খোলা সয়াবিন তেলের, খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। এছাড়া ডজনে লাল ডিম ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায় এবং মুরগি ১৫৫ টাকায়।
অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, আদা, রসুন, সরিষার তেল, এলাচ, দারুচিনি ও সকল ধরনের মসলার দাম।