লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার বাস, যাত্রীবাহী ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ থাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের অতিরিক্ত চাপ পড়েছে আকাশপথে। ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে এয়ারলাইন্সগুলোর বেশির ভাগ টিকিট। এই সুযোগে সব বিমান সংস্থাই ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে দুই থেকে তিন গুণ। ট্র্যাভেল এজেন্টরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা-সিভিল অ্যাভিয়েশনের তদারকি না থাকায় অনৈতিকভাবে ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। যদিও বিমান সংস্থাগুলোর দাবি, ফিরতি ফ্লাইটে যাত্রী কম থাকায় সমন্বয়ের জন্য ভাড়া কিছুটা বেশি।
করোনার সংক্রমণ রোধে ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি যাওয়া নিয়ন্ত্রণে বন্ধ রাখা হয়েছে আন্তঃজেলা বাস, ট্রেন ও লঞ্চ সার্ভিস। আকাশপথ খোলা থাকলেও ইতিমধ্যে বিমান সংস্থাগুলোর অধিকাংশ আসনের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। অবিক্রিত যা আছে তার জন্য যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে দুই থেকে তিনগুণ ভাড়া। এ অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত তারিখের টিকিট না পেয়ে অনেকে আবার ফিরেও যাচ্ছেন।যাত্রীরা জানান, এক যাত্রী জানান ঢাকা-বরিশাল ভাড়া ৩ হাজার ২০০ টাকা। এখন চাচ্ছে ৭ হাজার ২০০ টাকা।
ট্র্যাভেল এজেন্টরা বলছেন, বাড়তি চাহিদার অজুহাতে ইকোনমি ক্লাসের টিকিট ব্লক করে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বিমান সংস্থাগুলো।অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) মহাসচিব মাজহারুল হক ভুঁইয়া বলেন, নিম্নশ্রেণির পাঁচটা সিট বিক্রি করল ৩ হাজার ৫০০ টাকা। বাকিগুলো তার ব্লক করে রেখে দিল। হায়ার ক্লাসের টিকিট বিক্রি করছে এটা খুবই অনৈতিক। নরমাল সে সিটগুলো রয়েছে ৩ হাজার ৫০০ টাকার সেগুলো ৪০০০ টাকায় বিক্রি করতে পারে। কিন্তু সেগুলো ৭০০-৮০০০ টাকা বিক্রি করে সেটা অন্যায়।
এয়ারলাইন্সগুলোর দাবি, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য প্রতি বছর অতিরিক্ত ফ্লাইট দেয়া হলেও এ বছর করোনার কারণে চলছে অর্ধেক ফ্লাইট।ইউএস বাংলার জনসংযোগের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, নরমাল সময়ে আমাদের ৩৬টা ফ্লাইট থাকত। সেখানে আমাদের অর্ধেক ফ্লাইট চলছে। ফিরতি ফ্লাইটে আসন ফাঁকা থাকায় খরচ উঠাতে টিকিটের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।কোভিডের পূর্বে অভ্যন্তরীণ সাতটি রুটে ঢাকা থেকে প্রতিদিন গড়ে ৯০ থেকে ১০০টি ফ্লাইট চলাচল করলেও বর্তমানে এ সংখ্যা নেমে এসেছে ৪০ থেকে ৫০টিতে।