নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে অফিসের কাজের কথা বলে মানুষ বাইরে বের হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা বললেও ক্রস ম্যাচিং এ মিলছে না সত্যতা। রাজধানীর কল্যাণপুর ফুটওভার ব্রিজের নিচে পুলিশ চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছিলেন ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম কে ইশমাম।
তিনি বলেন, অসংখ্য মানুষ মিথ্যা বলে পার পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কাগজ দেখতে চাওয়ায় সবকিছু গরমিল হয়ে যায়। কেউ যাচ্ছেন সাভারের অফিসে, কেউ মিরপুর। সবারই জরুরি প্রয়োজন। কিন্তু ক্রস চেক করতে গেলেই সব উল্টো হয়ে যায়।
যারা রিকশায় যাচ্ছিলেন, সন্দেহ হলে তাদেরও দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করা হচ্ছিল। অজুহাত ঠিকমতো প্রতিষ্ঠা করতে না পারায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয় ওই চেকপোস্ট থেকে।
নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হয়ে প্রতিষ্ঠানের কাজের অজুহাত দেখাচ্ছেন অনেকেই। এটি মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনার সঙ্গে কোনোভাবেই যাচ্ছে না। অপ্রয়োজনে মানুষ ঘোরাফেরা করছে, লকডাউন দেখতে বেরিয়েছ। এক্ষেত্রে আমরা তাদের জরিমানা করছি। জরুরি সেবার সঙ্গে যারা জড়িত তারা উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে যেতে পারছেন, জানান ম্যাজিস্ট্রেট কে এম ইশমাম।
বর্তমানে সাধারণ জনগণের মুভমেন্ট অনেক কমে গেছে। যারা ঢাকার বাইরে যাচ্ছেন তারা জরুরি প্রয়োজনেই যাচ্ছেন। কেউ অসুস্থ, কারও আত্মীয়স্বজন মারা গেছেন এমন কারণেই ঢাকার বাইরে যাচ্ছেন অনেকে। আর যাদের মনে হয় অজুহাত দিচ্ছে, তাদের আমরা ফিরিয়ে দিচ্ছি। আজকে এমন একজনকে ফেরত দিয়েছি যার ভাই মারা গেছেন বলে আমাদের জানান। পরে তার বাড়িতে কল দিয়ে জানলাম, কেউ মারা যায়নি। মানুষ এমন করলে আমাদের আর কী করার থাকে।
সার্জেন্ট হারুন মামলার বিষয়ে বলেন, তিনি দোকানে যাচ্ছেন সেটি নিয়ে আমাদের কোন বাধা নেই। কিন্তু ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ নেই। তিনি নিজেকে শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। এতে আমরা বুঝতে পারি সরকারি নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি জানেন। তাই সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় তাকে জরিমানা করা হয়েছে।