অনলাইন ডেস্ক: দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে করোনা পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করেই কাজ শুরু করেছে দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো। সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালুর কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
পোষাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ নিষেধ থাকার পরেও অনেকেই পায়ে হেটে ঝুঁকি নিয়েই কর্মস্থলে ফিরছেন।
করোনার বিস্তার রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয় বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ। পরিস্থিতির অবনতি হলে সরকারি ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে তা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর গতকাল থেকে সীমিত পরিসরে ধাপে ধাপে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠন দুটি।
এদিকে গতকাল মার্চ মাসের বকেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন রাজধানীর মালিবাগের একাধিক পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। মালিবাগ ছাড়াও গাজীপুর, টঙ্গী, আশুলিয়া ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানেও বকেয়া মজুরির দাবি ও ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা।
শিল্প পুলিশের তথ্য মতে, আশুলিয়া, গাজীপুর, সাভার, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ এলাকায় বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ৪৮০ কারখানা আছে। এসব এলাকায় মোট শিল্পকারখানা রয়েছে ৭ হাজার ৬০২টি। তার মধ্যে গতকাল চালু ছিল ১ হাজার ৪২৭টি।
সাভার এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানা ঘুরে দেখা যায়, কারখানার ভেতরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হলেও বাইরে আসা–যাওয়ার ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না।
বিজিএমইএর সহসভাপতি ফয়সাল সামাদ বলেন, ‘উৎপাদন চালুর জন্য প্রায় এক হাজার কারখানা নিবন্ধন করেছিল। আমরা তাদের ধাপে ধাপে চালু করার নির্দেশ দিয়েছি।
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের মহাব্যবস্থাপক খুরশিদ আলম বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৫ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে কিছু কারখানা চালু করা হয়েছে। কারণ, এসব কারখানার হাতে বিদেশি ক্রেতাদের বেশ কিছু ক্রয়াদেশ ছিল। ক্রেতারা দ্রুত পণ্য সরবরাহের জন্য চাপ দিচ্ছিল।’