ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
আগামী অর্থবছর থেকে করদাতারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিফান্ড পাবেন। অর্থাৎ কোনো করদাতা অতিরিক্ত কর পরিশোধ করলে অতিরিক্ত অংশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ব্যাংক হিসাবে জমা হবে।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচার রাজস্ব ভবন সভাকক্ষে আয়কর আইন-২০২২-এর খসড়া প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
আয়কর অধ্যাদেশকে সহজীকরণ ও কিছু পরিবর্তন করে আয়কর আইনের খসড়া প্রণয়ন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আইনটি সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে উপস্থাপন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, প্রস্তাবিত এই খসড়া আইনটি অংশীজনদের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণের জন্য এনবিআর এর ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত অংশীজনদের পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। বর্তমানের আয়কর অধ্যাদেশটি ১৯২২ সালের। একশ বছরের পূরণো এই অধ্যাদেশটি এবার যুগোপযোগী এবং সহজীকরণ করে আইনে রুপান্তর করে খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
অধ্যাদেশটি আগে অনেক ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা এবং দুর্বোধ্যতা ছিল উল্লেখ করে তিনি জানান, এবার এটিকে বাংলা ভাষায় সহজবোধ্য করে আইন রূপান্তর করা হয়েছে। এখন আইনটিতে করদাতা বান্ধব ও সহজ ভাষায় প্রণয়ন করা হয়েছে, যাতে করদাতা ও আইনজীবিসহ সংশ্লিষ্টরা আইনটি সহজেই বুঝতে পারে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগের আইনে কোনো একটা বিষয় বুঝার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা লাগত। এখন আইনটির একই বিষয়ের সকল বিধানাবলী একই জায়গায় সন্নিবেস করা হয়েছে। এতে করে আইনটির বিধানাবলী পরিপালন অনেক সহজ হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত এনবিআর (আয়কর নীতি) সদস্য মো. আলমগীর হোসেন এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এখন আয়কর আইনটিতে ব্যাংক হিসেবে স্বয়ংক্রিয় কর প্রত্যাবর্তনের (রিফান্ড) বিধান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত কর পরিশোধ করলে তা সরাসরি ব্যাংক হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেরত দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা ও ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে করদাতার জন্য ই-কর ব্যবস্থাপনা বিধানও আইনের খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কর দাতাদের অফিসের আসার দুর্ভোগ পোহানো থেকে রেহাই পাওয়ার পাশাপাশি সময় এবং খরচও কমে যাবে বলে জানান তিনি।