আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে আবারো অস্থিতিশীল করে তোলা হয়েছে দেশের ভোজ্যতেলের বাজার। এ দফায় আমদানিকারকরা লিটারে ১৩ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাবও দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। যদিও প্রস্তাব দেয়ার ১৫ দিন আগেই বাজারে চালানো হয়েছে দাম বাড়ানোর প্রচারণা, তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম সংকট। এ ধরণের কৌশলের সমালোচনা করে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রভাবশালী তেল সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থতা রয়েছে মন্ত্রণালয়েরও।
রমজানের আগে হঠাৎ করেই লিটারে ৫ টাকা বাড়িয়ে দেয়া হয় সয়াবিন তেলের দাম। এক মাসও পার হয়নি এবার আমদানিকারকরা সয়াবিন তেলের দাম বাড়াতে চান লিটারে ১৩ টাকা। অজুহাত, পুরানো।
বাংলাদেশ ভোজ্য তেল ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা মাহমুদ বলেন, আমাদের যে আমদানিগুলো হচ্ছে সেগুলোর দাম অনেক বেশি। এখন এগুলো যদি সমন্বয় না করা হয় তাহলে যারা আমদানি করছেন তারাও লস করবে আর আমদানি করতে পারবে না। যে দামটা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে সেটার যুক্তি তথ্য সব আমরা দিয়েছে। আর মন্ত্রণালয়ের কাছেও তথ্য আছে। কিন্তু বাজার পরিস্থিতি দেখাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। কারওয়ানবাজারের আড়ৎ ঘুরে জানা যায় সয়াবিনের দাম বাড়বে, ব্যবসায়ীরা এটি জানেন আরো ১৫ দিন আগেই। মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেয়ার আগেই বাজারে এমন প্রচারণা চালিয়েছে সয়াবিনের ডিলাররা। শুধু তাই নয়, গত ৫ দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্রান্ডের সয়াবিনও। এমনকি এখনো কোন সিদ্ধান্ত না এলেও দফায় দফায় সয়াবিনের দাম বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে প্রতিদিনই।
এক বিক্রেতা বলেন, কোম্পানি এখন বলে এ রেটে বিক্রি করতে পরে আরেকটি রেট ধরিয়ে দেয়। পুরোই অস্থিরতা বাজারে। যে তেল ছিল ৬২০ টাকা সেটা এখন ৬৭০ থেকে ৬৮০ টাকা। এ ধরণের অপকৌশলের নিন্দা জানিয়ে অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বলছেন, ভোজ্যতেলের বাজারে অদৃশ্য সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রতিযোগিতার সুযোগ থাকতে হবে।গণমাধ্যমে কথা বলতে না চাইলেও দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের সত্যতা জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে আমদানিকারদের যুক্তি।