আজ বৃহস্পতিবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে প্রথম দিনের চেয়ে রাস্তায় তুলনামূলক শিথিলভাব দেখা গেছে। পুলিশ চেকপোস্টগুলোও প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন কিছুটা নমনীয়। প্রথম দিনে পুলিশ বেশ কঠোর মনোভাব দেখিয়ে প্রায় প্রতিটি গাড়ি আটকে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, আজ সেই চিত্র খুব একটা দেখা যায়নি। তবে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে সব রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে না।
গতকাল পহেলা বৈশাখের ছুটি থাকায় সবকিছু বন্ধ ছিল । ফলে মানুষ ঘর থেকে বের হয়েছিল কম। আজ দ্বিতীয় দিনে ব্যাংক, শেয়ারবাজার, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা। ফলে সকাল থেকে রাস্তায় গাড়ির চলাচলও বেড়েছে কিছুটা।
সরকার ‘কঠোর লকডাউন’ আরোপ করলেও ব্যাংকিং কার্যক্রম এবং শিল্প-কারখানা বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত রেখেছে।
এ দফায় ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধি নিষেধে বলা হয়েছে, ‘অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার এবং টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) কোনওভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
এর আগে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। সেটি বাড়িয়ে পড়ে ১২ ও ১৩ এপ্রিলও বিধিনিষেধ আরোপকরা হয়। তবে সেই বিধিনিষেধ তেমন কার্যকর হয়নি।
পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে, বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এজন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেওয়া হবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন