আজ সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারেন। একইসঙ্গে ২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে তিন মাস পর পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণাও আসতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষাবোর্ড সূত্রে আরও জানা যায়, আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে দুই স্তরের শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষে ক্লাস শুরুর ঘোষণাসহ ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের সার সংক্ষেপ মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করতে পারেন।
করোনার কারণে ১৪ মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে চরম ক্ষতির সম্মুখীন শিক্ষার্থীরা। ভার্চুয়াল ক্লাস চালু হলেও মেলেনি আশানুরূপ ফল। বিশেষ করে গ্রামের শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়াল ক্লাস থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এদিকে, গত কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীর। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের হার কমে আসায় অঞ্চলভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ কম এমন জেলা, উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রাধান্য দেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা এবং আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো কীভাবে নেয়া যায় তা নিয়ে শিক্ষাবোর্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে তথ্য ও প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছে। এসব প্রস্তাবনা যাচাই-বাছাই করে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন তিনি।
সূত্র জানায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষাবোর্ড যে প্রস্তাবনা দিয়েছেন তার মধ্যে ৬০ দিন এসএসসি এবং ৮০ দিন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস রুমে পড়িয়ে তারপর পরীক্ষা নেয়ার আগে সিদ্ধান্ত এখনও বহাল রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে পরীক্ষার সময় আরও তিন মাস পিছিয়ে দেয়ার প্রস্তাবনা রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে অঞ্চলভিত্তিক গুরুত্ব দেয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছে।