ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে পণ্যের দাম যেন না বাড়ে, এটা আমরাও ভাবছি। আসন্ন রমজানকে ঘিরে বাজারে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে কাজও চলছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল পণ্যের দাম আমরা কমাতে পারব না। বিদেশ থেকে আমদানি করার পরে কেনা দর ধরে আমরা একটি দাম নির্ধারণ করে দিই।
টিপু মুনশি বলেন, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, চিনিসহ চারটি আইটেম আমরা দেখি। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম বাড়ে তখন এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ে। চালের দাম কখনো দেশে বাড়ছে আবার কমছে, এটা খাদ্য মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। এখন পেঁয়াজের দাম এসছে কিন্তু কৃষকরা বলছে দাম না বাড়াতে। এমন সমস্যা আমাদের সবদিক থেকে আছে। দাম কমলে কৃষকের সমস্যা, বেড়ে গেলে সাধারণ মানুষের সমস্যা। তবে আমরা ব্যালেন্স করার চেষ্টা করি।
এ সময় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েই চলেছে। আগামী মাসে আমরা বসব, এই দাম কতটুকু করা প্রাক্টিক্যাল ব্যবসায়ীদেরকেও দেখতে হবে। তারা যেনো লোকসান না করে। সাধারণ মানুষও যেনো সেই সুজোগ পায়। এসব নিয়ে আলোচনাও চলছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, খোলা বাজারে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির পরিমাণ বাড়ানো হবে। রমজানে টিসিবির পণ্য বিক্রির পরিমাণও ডাবল করা হবে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রমজানের নিত্যপণ্যের বাজার থাকবে। এ জন্য বাজার মনিটরিং বাড়ানো হচ্ছে।