আন্তর্জাতিক শান্তি সূচকে ভারতের চেয়ে ৪৪ আর পাকিস্তানের চেয়ে ৫৯ ধাপ এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
শান্তি অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশের ৩১ ধাপ পেছনে, চীন পিছিয়ে ৯ ধাপ। দক্ষিণ এশিয়ায় শুধু হিমালয়ের বুকে অবস্থান করা ভুটান ও নেপালেই বাংলাদেশের চেয়ে বেশি শান্তি বিরাজ করছে। এই অঞ্চলে বিশ্বের অন্য অঞ্চলের চেয়ে শান্তির পরিমাণ কম। সবচেয়ে হিংসার পরিবেশ রয়েছে এই অঞ্চলেরই দেশ আফগানিস্তানে।
এই সূচকে নিয়মিতই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতিবেশি দেশগুলো যদি প্রতিবছর একাধিক ধাপ করেও উন্নতি করে, আর বাংলাদেশ যদি নিজের অবস্থানও ধরে রাখে, তবে ভারত ও পাকিস্তানের বাংলাদেশকে স্পর্শ করতে কতে কয়েক দশক লেগে যাবে।
প্রতিবছরের মতো ২০২১ সালেও সিডনিভিত্তিক ইন্সটিটিউট অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিস এই সূচক প্রকাশ করেছে। সূচকে বাংলাদেশের ৭ ধাপ উন্নতি হয়েছে। আর ভারত এগিয়েছে ৪ ধাপ। পাকিস্তানের ২ ধাপ অবনতি হয়েছে। ১৬৩টি দেশের মধ্যে সবার নিচে আছে আফগানিস্তান।
এছাড়াও এই তালিকায় বাংলাদেশের নিচে অবস্থান করা উল্লেখযোগ্য দেশগুলো হলো; সিরিয়া, রাশিয়া, তুরস্ক, ইউক্রেন, ইসরায়েল, ফিলিপাইন, সৌদিআরব, মিয়ানমার, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, থাইল্যান্ড ও আর্মেনিয়া।
বিশ্বে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে আইসল্যান্ড। ১ দশমিক ১ স্কোর নিয়ে এবারও তালিকার শীর্ষে আছে দেশটি। এরপর শীর্ষ দশে থাকা বাকি দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র ও কানাডা।
অন্যদিকে ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ২০২১ সালের বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৩৭তম। এ বছর ৩৩ দশমিক পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে সর্বশেষ ঘোষিত তালিকার চেয়ে একধাপ এগিয়েছে ঢাকা। ২০১৯ সালে তালিকার ১৩৮ নম্বরে থাকলেও এবার রয়েছে ১৩৭ নম্বরে। এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকা ছিল এই তালিকার ১৩৯তম শহর।
বসবাসের যোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার চেয়ে কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। শহরটির অবস্থান ১৩৪। এছাড়া ১৩৫তম অবস্থানে লিবিয়ার ত্রিপোলি, ১৩৬তম আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, ১৩৮তম পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোরেসবি এবং ১৩৯তম অবস্থানে রয়েছে নাইজেরিয়ার লাগোস।