দেশে গত বছরের মার্চ থেকে দেয়া হয় নানা মেয়াদে লকডাউন। কখনো সীমিত পরিসরে আবার কখনো কিছুদিনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্র। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
আজ শনিবার (১ মে) বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এসময় তারা বলেন, ‘করোনায় কাজ হারিয়ে হাজার হাজার শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কাজ হারানো শ্রমিকদের ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।’
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আজ রাজধানীতে সকাল নয়টার পর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগ, বিএনপির অঙ্গসংগঠন শ্রমিক দল, বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর শ্রমিক সংগঠন মিছিল নিয়ে আসে।
মিছিল শেষে শ্রমিক দলের নেতারা বলেন, ‘এক বছর আগে দেশে করোনা শনাক্ত হয়। করোনায় টানা ৬৬ দিন জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে। কাজ হারান হাজার হাজার শ্রমিক। সেই থেকে শ্রমিকেরা চরম বিপদে আছেন। অধিকাংশ শ্রমিকের কাজ নেই। আর যাঁরা কাজ করছেন, ঈদের আগে তাঁদের বেতন–ভাতা দিতে হবে।’
এই মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘করোনায় লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। অনেক চাকরিচ্যুত হয়েছেন। কাজ হারানো শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন যাপন করেছেন।’
বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, ‘শ্রমিকদের জন্য রেশনিং পদ্ধতি চালু করতে হবে। চালু করতে হবে ন্যায্য মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিক্রির ব্যবস্থা। আর করোনায় যদি কোনো শ্রমিক মারা যান, তাহলে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
আরেক প্রবীণ শ্রমিক নেতা আবুল হাসান বলেন, ‘যুগের পর যুগ শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এখন চলছে করোনা। শুরু হয়েছে লকডাউন। অধিকাংশ শ্রমিক বেকার। আয় না থাকায় তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করেছেন।’
এছাড়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টিসহ বামপন্থী নয়টি সংগঠন, টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠন ও গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়ন।