ভোক্তাকণ্ঠ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিদ্যুতের দাম গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বা ৩৬ পয়সা বাড়িয়েছে আর পাইকারি পর্যায়ে গড়ে বাড়ানো হয়েছে ৪০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
নতুন দাম আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। আজ বৃহস্পতিবার বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল তাঁর কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেন।
গত বছরের জুনের শেষদিকে বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বাড়ানোর জন্য বিইআরসিতে প্রস্তাব পাঠাতে শুরু করে বিতরণ কোম্পানিগুলো। এসব প্রস্তাবের ওপর গত ২৮ নভেম্বর গণশুনানি শুরু হয়। তাতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) পাইকারিতে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম ২৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়।
এর প্রেক্ষিতে পাইকারিতে প্রতি ইউনিট ৪ দশমিক ৭৭ বেড়ে ৫ দশমিক ১৭ টাকা আর খুচরায় প্রতি ইউনিট ৬ দশমিক ৭৭ থেকে বেড়ে ৭ দশমিক ১৩ টাকা করা হয়েছে। এ হিসাবে পাইকারিতে বেড়েছে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ আর খুচরায় বেড়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
এছাড়াও বিদ্যুতের সঞ্চালন মূল্যহার গড়ে ০ দশমিক ২৭৮৭ টাকা/ বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় কিলোওয়াট ঘণ্টা প্রতি (কি.ও.ঘ) ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়িয়ে ০ দশমিক ২৯৩৪ টাকা করা হয়েছে। নতুন এ বিদ্যুতের দাম আগামী মাস থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এছাড়া বিতরণকারী বা খুচরা বিক্রেতা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডেসকো, ডিপিডিসি, ওজোপাডিকো ও নেসকো দাম বাড়ানোর আবেদন করে । যুক্তি হিসেবে পরিচালন ও জনবল বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি এবং আধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন ও সরঞ্জামের মূল্য বৃদ্ধির কথা বলা হয় কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে।
সর্বশেষ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় ২০১৭ সালের নভেম্বরে। যা ওই বছরের ডিসেম্বরে কার্যকর হয়। সে বছর সারা দেশে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে গড়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ; প্রতি ইউনিটে গড়ে ৩৫ পয়সা।