বেনাপোল প্রতিনিধি:
বিশেষ শর্তে আমদানির সময় শেষ হওয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত তিন দিনে ভারত থেকে কোনও চাল আসেনি। শর্তানুযায়ী ৩০ অক্টোবর ছিল কম শুল্কে চাল আমদানির শেষ দিন। আমদানির সময় শেষ হওয়ায় গত তিন দিনে চালের মূল্য বেড়েছে কেজি প্রতি ২-৪ টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, চালের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার গত ২৫ আগস্ট ৪০০ জন আমদানিকারককে সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। ১৪ লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও এক লাখ ৯৭ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল ছিল। তবে শর্ত ছিল ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এ চাল ভারত থেকে আমদানি শেষ করতে হবে। নির্দেশনায় ৩০ অক্টোবর ছিল চাল আমদানির শেষ দিন।
বিশেষ শর্তের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর খাদ্যমন্ত্রণালয় থেকে ২৫ শতাংশ হারে চাল আমদানির অনুমোদন বাতিল করে দেওয়া হয়। বাতিলের পর ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দরে অনেক চালের ট্রাক আটকা পড়ে আছে এখনও। সংশ্লিষ্টরা জানান, এখন ভারত থেকে চাল আমদানি করতে ৬২ শতাংশ হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে চালের দাম বাড়ানোর তথ্য জানিয়ে বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, বাজারে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চালের সংকট সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়াচ্ছে। বাজার তদারকির মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
চাল আমদানিকারক আব্দুস সামাদ বলেন, চাল আমদানির সময় একমাসের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ১০০ টাকা কমে এসেছিল। মিনিকেট চাল মিল পর্যায়ে প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছিলো ২৫০০ টাকা, আমদানি বন্ধের অজুহাত দেখিয়ে এখন সেই চাল বাজারে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ টাকায়।
বেনাপোল বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, মিনিকেট চাল খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ৫২-৫৩ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা তিনদিন আগে ছিল ৫০ টাকা। বিআর-২৮ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা, যা তিনদিন আগে ৪৬ টাকা ছিল।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বেনাপোল বন্দর দিয়ে শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদিত চাল আর ভারত থেকে আসছে না। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ফের নির্দেশনা আসলে ভারতে আটকে থাকা চাল আগের মতো ২৫ শতাংশ শুল্ককরাদি পরিশোধ করে ব্যবসায়ীরা খালাস করতে পারবেন। নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি হওয়া চাল ৬২ শতাংশ শুল্ককরাদি পরিশোধ করে খালাস নিতে হবে।