ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক
পদ্মা সেতু চালুর পর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ-স্পিডবোট-ফেরির সব সেবা। ফলে ঘাট ঘিরে জীবিকা নির্বাহকারীরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। বেকার হয়ে পড়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।
মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটের হকার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাট ঘিরে হাজারো হকার জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পর অচল হয়ে পড়েছে ঘাট। চলছে না লঞ্চ, ফেরি, স্পিডবোট। তাদের এখন একটাই প্রশ্ন আমরা খাব কি?
ঝালমুড়ি বিক্রেতা আব্দুল্লাহ বলেন, যখন লঞ্চ-ফেরি চলত, তখন সারা দিনে হাজার থেকে বারশ টাকা আয় হতো। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পরে ঘাটে কোনো লোকজন আসে না। তাই আমাদের আর বেচাকেনা হয় না। নিজের জমি-জমা নেই, যে হাল চাষ করে খাব। এখর বেঁচে থাকাই দায়। সরকার যদি আমাদের জন্য কোনো আয়ের ব্যবস্থা করে দিত।
কাঁঠালবাড়ী এলাকার পিন্টু, বাবুল, হাবিব সহ আরো অনেকে একই ধরনের কথা বলেন। সবারই প্রশ্ন আমরা কিভাবে বাঁচব।
বাংলাবাজার ঘাটের ফল বিক্রেতা অহিদুল বলেন, সরকারের কাছে আমাদের একটা আবেদন, সরকার হকারদের জন্য যেন কিছু একটা করে দেয়। সামনে বিকল্প পথে আয়ের রাস্তা খুবই কম। জীবনের বেশির ভাগ সময়ই কেটেছে পদ্মার পাড়ে।
বাংলাবাজার ঘাটের হকার মফেজ, হাকিম, ইব্রাহীম একই কথা বলেন। তাদের আয়ের পথ বন্ধ হইব। খামু কী, পরমু কী। ব্রিজের ওপর আমাদের কোনো ব্যবসা চলবে না। সরকার যদি আমাদের কিছু ঋণ দিত, ঋণের টাকা দিয়ে নতুন করে কিছু করে খেতে পারতাম।