বাংলাদেশকে আরও ৩৫ লাখ ডোজ ফাইজার কোভিড-১৯ টিকা উপহার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে এখন পর্যন্ত আমেরিকান জনগণ বাংলাদেশকে মোট ১ কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা উপহার দিয়েছে।
বুধবার ( ২৭ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যডমিনিস্ট্রেশন) ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োটেক কোভিড-১৯ টিকা অনুমোদন করেছে।
মানিকগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের পর যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান দেওয়া টিকাগুলো দেশের সরকারকে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী বাংলাদেশিদের টিকাদানে সক্ষম।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেছেন, বাংলাদেশকে আরও ৩৫ লাখ ডোজ টিকা অনুদান দিতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র আনন্দিত। এছাড়াও আমরা বাংলাদেশি শত শত স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছি যাতে তারা ফাইজারের এই টিকাগুলো ১২ ও তদুর্ধ্ব বয়সী শিশুদের নিরাপদে দিতে পারে। আমরা আশা করি, এই টিকা তরুণ বয়সী বাংলাদেশিদের বিশেষ করে
শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা পেতে সহায়তা করবে এবং তারা পরিপূর্ণভাবে তাদের লেখাপড়া ও সামাজিক কর্মকাণ্ড শুরু করতে পারবে।
বাংলাদেশকে দেওয়া ফাইজার টিকার এই অনুদান কোভিড-১৯ মোকাবিলার বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিশ্রুত ২০২২ সালজুড়ে বিনামূল্যে বিশ্বব্যাপী ১০০ কোটি ডোজ ফাইজার টিকা সরবরাহের অংশ।
টিকা অনুদান দেওয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান প্রচারাভিযান এবং মহামারি মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত কার্যক্রম জোরদারকরণে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৬ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি স্বাস্থ্য সেবাদানকারী ও স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যাতে করে তারা নিরাপদে ও দক্ষতার সঙ্গে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়তা করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি, ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ১২১ মিলিয়ন বা ১০৫২ কোটি টাকারও বেশি কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে।