ইউনিয়ন পর্যায়ে শিল্প-কারখানা বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। তাহলে গ্রামের জনগোষ্ঠী আর দেশের বাইরে অথবা এলাকা ছাড়তে চাইবে না।
বুধবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক সেমিনারে এ অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, যেসব ইউনিয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে, সেখানকার পরিবারগুলোয় সমৃদ্ধি এসেছে ও পরিবারের সদস্যরা কাজের সন্ধানে বাইরে যাচ্ছে না। এ কারণে শিল্প কলকারখানা বিকেন্দ্রীকরণের পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে।
‘স্থানীয় পর্যায়ে শিল্প কারখানার সুযোগ ও অভিবাসী সিদ্ধান্ত’ শীর্ষক সেমিনারে বিআইডিএসের সিনিয়র গবেষক ড. কাজী ইকবাল বলেন, অনেক ইউনিয়নে এসএমই থাকায় সেখানকার মানুষের আয় বাড়ছে। তারা কাজের জন্য অন্য জেলায় যাচ্ছে না। এ জন্য লোকালি ননফার্ম সুযোগ তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, কাজের জন্য দেশের ভেতরে যে মাইগ্রেশন হয়, তার মধ্যে ৮০ শতাংশই ঢাকা ও চট্টগ্রামে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে নীতিগত পরিবর্তন আনতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে রাস্তা, কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে।
সেকেন্ডারি টাউন করা যেতে পারে জানিয়ে তিনি জানান, গ্রামের আশপাশে আরেকটা শহর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব করতে পারলে মানুষ শহরমুখী হবে না। কোন ধরনের ইন্ডাস্ট্রি কোথায় থাকলে দেশের ইকনোমিক গ্রোথ ও ডেভেলপমেন্ট হবে সেটা নিয়ে সরকারের স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, উন্নয়ন পরিকল্পনায় আধুনিক ও বিজ্ঞান ভিত্তিক কৃষিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাহলে কাজের জন্য শহরমুখিতা কমবে।