ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ইভ্যালি নিয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী এবং এর চেয়েও বেশি আশাবাদী ইকমার্স নিয়ে। আমাদের একটু সময় দিন’। প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে দেশের গণমাধ্যমেও বিভিন্ন ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমেও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
ইভ্যালির প্রধান কার্যালয় বন্ধ এবং হট লাইনেও তারা গ্রাহক ও মার্চেন্টদের ফোন রিসিভ করছে না এমন অভিযোগ শোনা যায় শুক্রবার সারাদিন। এরই পরিপ্রেক্ষিতেই রাতে মাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন তিনি।
সেখানে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল নিজেদের বৈধ ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাসে দাবি করেন, দেশের আইন মেনেই ব্যবসা করছে তার প্রতিষ্ঠান। তাই আগেই অপরাধী না বানানোরও আনুরোধ জানান তিনি।
তিনি আরও দাবি করেন, পুঁজি ঘাটতির জন্য ইভ্যালি সাময়িক অসুবিধায় পড়লেও তা কাটিয়ে উঠবে। বিজনেস ডেভেলপমেন্টের জন্য এতদিন তারা লোকসান দিয়েছেন। তবে ইভ্যালির অর্গানিক সেলস অনেক বেড়েছে।
বড় বড় সেলারদের ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি পেমেন্ট দিয়েছি। তারা আমাদের পাশে থাকতে চান। কিন্ত মিডিয়া অথবা সোস্যাল মিডিয়া যখন ডেসটিনি এর মত কোম্পানির সাথে তুলনা করেন, তখন যে কেউ ই ভয় পেয়ে যান। আমরা বিজনেস সবাই বুঝি। এটা একটা চলমান সম্পর্কে থাকার বিষয়। সেলস থাকলে সেলার থাকবে এবং সেলার থাকলে পণ্য থাকবে।’ বকেয়া ৪০ কোটি টাকার অর্ডার ডেলিভারি দেয়া হয়েছে গত দুই সপ্তাহে দাবি ইভ্যালি সিইওর। নতুন নীতিমালার আলোকেও ইভ্যালির বিক্রি একশো কোটি টাকা।
মিডিয়ায় অথবা সোস্যাল মিডিয়ায় আমাকে ক্রিমিনাল না বানিয়ে বিচার না করার অনুরোধ করতে পারি শুধু। আমি বাংলাদেশের সব বড় গ্রুপ এখন যাচ্ছি। আমার হয়তো পুঁজি ঘাটতি। কেউ পুঁজি দিলেই কিন্তু কাল আমাকে সবাই হিরো বলত। যেই জিনিসটা ইভ্যালি অর্জন করতে চেয়েছিল, ইভ্যালির একদম সেটার দারপ্রান্তে।
তাই এই সময়ে সবার কাছ থেকে গঠনমূলক সমালোচনা আশা করেন তিনি।