ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক
ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার কারণে ২০ দিনে দুই হাজার ১৭০ জন জেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সময়ে এক হাজার ৪৫টি মাছ ধরার নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছে নৌ-পুলিশ।
এ সময় নৌ-পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় দুই শতাধিক মামলাও দায়ের হয়েছে। অভিযানে জব্দ হওয়া ৩০ হাজার কেজি ইলিশ মাছ বিতরণ করা হয়েছে বিভিন্ন এতিমখানায়।
নিষেধ অমান্য করে মাছ শিকারের ঘটনায় ২২৯টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে ২২৬টি মামলা মৎস্য আইনে এবং তিনটি পুলিশের ওপর আক্রমণ করার মামলা।
অপরদিকে, ২৪৩টি মোবাইল কোর্টে ৩৭৮ জনকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৮৬৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ২৭৫ জনকে।
২০ দিনে দুই হাজারের বেশি মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার আটক করেছে নৌ-পুলিশ। এরমধ্যে এক হাজার ৪৫টি নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ৪৪৪টি নৌকা নৌ-পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। দুটি নৌকা মালিকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে আটক করা ৪২৯টি ট্রলারের মধ্যে ৯০টি নৌ-পুলিশের ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।ধ্বংস করা হয়েছে ৩২৯টি ট্রলার। মালিকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে ৫টি।চারটি ট্রলার নেওয়া হয়েছে মৎস্য অফিসারদের হেফাজতে এবং একটি ট্রলার মুচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ৩৬টি ফিশিং বোট মালিকের জিম্মায় ফেরত দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে ৮০ কোটি চার লাখ ৩৬ হাজার মিটার বিভিন্ন ধরনের জাল জব্দ করা হয়। এরমধ্যে কারেন্ট জাল, চায়না চাই, সিনথেটিক জাল, চরঘেরা জাল, রিং জাল, বেড়া জাল, টোনা জাল, মশারি জাল ও সুতার জাল রয়েছে। সবই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত এসপি সাথী রানী শর্মা জানান, ‘ইলিশ সংরক্ষণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নৌ-পুলিশ দেশের নদীগুলোতে কড়া পাহারায় ছিল। যারা আইন অমান্য করে ইলিশ ধরেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’