বরিশাল ও বরগুনার বিভিন্ন উৎসের পানি পরীক্ষা করে, ডায়রিয়ার জন্য দায়ী ‘ই-কোলাই’ ব্যাকটরিয়ার অস্তিত্ব পেয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআর। বৃষ্টি ও মিঠা পানির প্রবাহের অভাবে লবণাক্ততা বাড়ায় দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলছে। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো।
প্রয়োজনীয় জনবল সংকটে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও বয়স্ক ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
পাঁচ লাখ নগরবাসীর জন্য বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড রয়েছে মাত্র চারটি। এখন প্রতিদিন এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে অর্ধশতাধিক রোগী। মেঝে, বারান্দা এবং ওয়ার্ডের সামনে তাবু টানিয়েও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে দেখা দিয়েছে স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকট।
গত সাড়ে তিন মাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বরিশাল জেলায় পাঁচ হাজার ৫২৯, পটুয়াখালীতে ৯ হাজার ১৩৮, ভোলায় ১০ হাজার ৫১৭, পিরোজপুরে চার হাজার ৯৮২, বরগুনায় ছ’হাজার ৫৬৬ এবং ঝালকাঠিতে চার হাজার ৬২৮ জন। মারা গেছে বরিশালে পাঁচ, পটুয়াখালীতে চার এবং বরগুনায় তিন জন।
ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের করোনা পরীক্ষার চেষ্টা করছেন বলে জানান, জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক।
সম্প্রতি বরিশাল ও বরগুনার বিভিন্ন উৎসের পানি পরীক্ষা করে, ডায়রিয়ার জন্য দায়ী ‘ই-কোলাই’ ব্যাকটরিয়ার অস্তিত্ব পেয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষনা প্রতিষ্ঠান।