ই-বর্জ্য ফেরত নেয়ার সময় উৎপাদনকারীর কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত অর্থ বা প্রণোদনা পাবেন ভোক্তা। ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক পণ্য থেকে সৃষ্ট বর্জ্য (ই-বর্জ্য) উৎপাদনকারী বা সংযোজনকারীকে ফেরত নিয়ে রকার নির্ধারিত অর্থ বা প্রণোদনা দেওয়া হবে ভোক্তাদের। ১০ জুন বিধিমালাটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয় এবং কোনো ই-বর্জ্য ১৮০ দিনের বেশি মজুত করা যাবে না। আমদানি করা যাবে না পুরনো বা ব্যবহৃত ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক পণ্য বিধিমালাটি জারি করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ।
বিধিমালার কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে ‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত, ২০১০)’ এর ১৫ (১) ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধের ক্ষেত্রে দুই থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড বা দুই থেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সংযোজনকারী ও বড় আমদানিকারকের ই-বর্জ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। বিধিমালা বাস্তবায়নের প্রথম বছর প্রস্তুতকারক, সংযোজনকারী ও বড় আমদানিকারককে উৎপাদিত ই-বর্জ্যের ১০ শতাংশ সংগ্রহ করতে হবে। দ্বিতীয় বছরে ২০ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ৩০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ৪০ শতাংশ ও পঞ্চম বছরে ৫০ শতাংশ ই-বর্জ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে বিধিমালায়।
বাংলাদেশে সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করায় ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ই-বর্জ্য নতুন বিষয় হওয়ায় এ বিষয়ে সচেতনতাও কম, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি বলে জানান, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্ত।
বিধিমালায় বলা হয়, প্রস্তুতকারক ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক পণ্য প্রস্তুতের সময় উৎপাদিত যে কোনো ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহার উপযোগী বা ধ্বংস করার জন্য সংগ্রহ করবে। সব ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক পণ্যে দেশের কোড, ক্রমিক নম্বরসহ কোম্পানি কোড বা ব্যক্তিগত পরিচয় ব্যবহার। মেরামতকারী, চূর্ণকারী ও পুনর্ব্যবহার উপযোগীকারী বরাবর ই-বর্জ্য সরবরাহ করবে।
কোনো পুরনো বা ব্যবহৃত ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক পণ্য আমদানি করা বা দান-অনুদান বা অন্য কোনোভাবে গ্রহণ করা যাবে না। তবে গবেষণা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য অধিদফতরের অনাপত্তি গ্রহণের মাধ্যমে আমদানি বা গ্রহণ করা যাবে
ই-বর্জ্যের ধরন অনুযায়ী পরিবেশ অধিদফতরের বিভাগীয় অফিস প্রতিবছর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।