জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় সরকার ঈদকে সামনে রেখে গণপরিবহন চালুর ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার (০১ মে) তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আন্দোলন, বিক্ষোভে না গিয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ধৈর্য ধরারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চালুর দাবিতে রবিবার (২ মে) সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংগঠনটির ভাষ্য, করোনা ভাইরাসের মহামারিতে সবকিছু চালু থাকলেও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে ৫০ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
সরকারের এই কঠোর বিধি-নিষেধ প্রথমে ২১ এপ্রিল, এরপর ২৮ এপ্রিল এবং সবশেষ ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে একাধিকবার গণপরিবহন চালুর বিষয়ে কথা উঠেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পরিবহন শ্রমিকরা উপার্জনহীন হয়ে পড়লে তারা বারবারই গণপরিবহন চালুর দাবি তুলেছেন। তারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই তারা পরিবহন চালাতে চান। তবে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।