নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ
খুলনা যাবেন কাদের বখত (৪৫)। রাজধানীর ইস্টার্ন প্লাজায় শো-রুমে কাজ করেন তিনি। চাঁদরাতে বেচাকেনা করেছেন ৩টা পর্যন্ত। ঈদের দিন মঙ্গলবার (৩ মে) সকালে নামাজ আদায় করেই সরাসরি গাবতলী বাস টার্মিনালে এসেছেন। শেষ সময়ে হলেও ঈদের খুশি আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চান।
তিনি বলেন, চাঁদরাতে বেচাকেনা করেছি। সকালে নামাজ পড়ে বাড়ি যাচ্ছি পরিবারের সঙ্গে। বাড়িতে মা থাকেন। মায়ের সঙ্গে দেখা করবো ও বাবার কবর জিয়ারত করবো।
কাদেরের মতো আরও অনেকে ঢাকা ছাড়ছেন। ছুটি না থাকা এবং ঈদযাত্রায় ভোগান্তি এড়ানোসহ নানা কারণে ঈদের আগে ঢাকা ছাড়তে পারেননি অনেকে। তাই পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকেই ঈদের দিন ঢাকা ছাড়ছেন।
মঙ্গলবার (৩ মে)রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, বাস কাউন্টারগুলো খোলা রয়েছে। যাত্রীর উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
ঈদের দিনে ঘরমুখো যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা অনেকে বিভিন্ন শো-রুম ও বিপণিবিতানে চাকরি করেন। সেখানে বেচাকেনা হয়েছে চাঁদরাতেও। ফলে ছুটি মিলেছে ঈদের দিন।
তাদেরই একজন ফরিদপুরের আলামিন হোসেন। চাকরি করেন বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের একটি শো-রুমে। তিনি বলেন, ‘রাত তিনটা পর্যন্ত বেচাকেনা হয়েছে। মালিক ঈদের দিন ছুটি দিয়েছেন। তাই নামাজ পড়েই গ্রামে বাড়ি যাচ্ছি।’
গাবতলীতে ঈদের দিন অনেক ইমাম ও মুয়াজ্জিনের উপস্থিতি দেখা গেছে, যারা নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন। তাদের সবার ছুটি মিলেছে ঈদ জামাতের পর।
মাগুরা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন মো. সুলতান নামের আরেক যাত্রী। তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে যাত্রীর প্রচুর চাপ থাকে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটেও জ্যাম থাকে। ঈদযাত্রা কষ্টকর হয়। এজন্য আগে যায়নি। এখন একটু আরামে যেতে পারবো।’
ছোট বাচ্চা ও বৃদ্ধা নানিকে নিয়ে যশোর যাবেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে টিকিট পাইনি। নানি বয়স্ক মানুষ। আবার বাচ্চাটাকে নিয়েও ঝামেলা। টিকিট ছাড়া রওনা করা ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য ঈদের দিন টিকিট নিয়েছি। আজ বাড়িতে যাচ্ছি।’