ঈদের সপ্তাহখানের পরে পরিস্থিতি আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) করোনা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।
রাজধানীর হাসপাতালে দেখা গিয়েছে, করোনাভাইরাসের সঙ্গে দীর্ঘদিন লড়াই করে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণও কিছুটা কমেছে। তবে স্বস্তিদায়ক এমন খবরের সঙ্গে শঙ্কাও কম নয়। কারণ, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে শপিং মলগুলোতে মানুষের হুমড়ি খেয়ে পড়া, যানবাহনে গাদাগাদি করে বাড়ি ফেরা কিংবা জনজীবনেরও গতিও অনেকটা স্বাভাবিক।
ঈদ শপিং, ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফেরা কিংবা জীবনযাত্রা অনেকটা স্বাভবিক গতিতে ফেরার কারণেই এই আশঙ্কার কথা জানান নাসির উদ্দিন।
ঈদের সাত থেকে ১০ দিন পরে সংক্রমণের সংখ্যা অবশ্যই বাড়বে এতে কোনো সন্দেহ নাই। সেটা যদি দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের পাশের (দেশের) ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু বিশাল বিপত্তি বাঁধবে। এটা আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে বলে জানান তিনি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ইতালি, ইংল্যান্ড থেকে এসে যদি আমাদের দেশে করোনা সৃষ্টি হতে পারে তাহলে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে এটা আসতে পারে বা আসবে- এটা আমাদের ধরেই নিতে হবে। আমাদের ঈদ সামনে আছে, বিভিন্ন উৎসব আছে সেগুলো নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেগুলো নিশ্চয়ই জীবনের চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না।’
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘গ্রামীণ অঞ্চলে যদি এটি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে সেটা ম্যানেজ করা আমাদের জন্য খুবই কঠিন হবে। আপনারা জানেন, পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশে, পার্শ্ববর্তী দেশেও কিন্তু গ্রামাঞ্চলের দিকে ছড়াচ্ছে। সেটি হলে কিন্তু চিকিৎসা ব্যবস্থায় সেটিকে সামাল দেওয়া দুরূহ হয়ে যাবে।’
এদিকে দেশে যেহেতু করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে তাই মানুষকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।