ভোক্তাকন্ঠ প্রতিনিধি: ঈদ উপলক্ষে মসলা জাতীয় পণ্যসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ঢাকাসহ সারাদেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভোক্তা-অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় সারা দেশের ১৪১ টি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ও পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকাসহ সারাদেশে বাজার তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মজুদ ও পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশী এমপি নিয়মিতভাবে সারাদেশের বাজার তদারকি কার্যক্রম প্রত্যক্ষভাবে মনিটরিং করছেন এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করছেন ।
বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন এর তত্ত্বাবধানে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা এর নেতৃত্বে ও পরিচালক (প্রশাসন) শামীম আল মামুনের সহযোগিতায় সারাদেশে অভিযান পরিচালিত হয়।
ঢাকা মহানগরী ও ঢাকার সাভার উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস ও সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল, ফাহমিনা আক্তার, রজবী নাহার রজনী, রোজিনা সুলতানা, মাগফুর রহমান ও মাহমুদা আক্তার। ঢাকা মহানগরী ও ঢাকার সাভার উপজেলায় অধিদপ্তরের ৯ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ২৪টি বাজারে (পাইকারি ও খুচরা) এই অভিযান পরিচালিত করেন।
এছাড়া ঢাকার বাইরে ৬১ জন কর্মকর্তা বিভিন্ন বিভাগের উপ-পরিচালক ও জেলায় সহকারী পরিচালকগণের নেতৃত্বে ৭৪ টি বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।
তদারকিকালে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, অধিকমূল্যে পণ্য বিক্রয় করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করা সহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধের জন্য ভোক্তা অধিকার আইনে ৯৮ টি বাজারে (পাইকারি ও খুচরা) তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে ১৪১ টি প্রতিষ্ঠানকে মোট পাঁচ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকার আর্থিক জরিমানা করেন।
এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, পবিত্র রমজানে ও করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকাসহ সারাদেশে অধিদপ্তরের নিয়মিত ও বিশেষ বাজার তদারকি কার্যক্রম চলছে।
এছাড়াও নিত্যপণ্যের উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্যের ক্রয় মূল্যের ভাউচার এবং মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করতে ও ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয়ের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়াও করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সকল ভোক্তা সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে বাজারে পণ্য ক্রয় বিক্রয়েরও অনুরোধ জানান তিনি।