আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে ঈদের আগে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এইবার সেই দাম থেকে ঈদ পর্যন্ত ভোজ্যতেলের দাম প্রতি লিটারে তিন টাকা ছাড় দিয়ে বিক্রি করবে পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো।
আজ সোমবার (০৩ মে) এ ঘোষণা দিয়েছে মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
নতুন করে মূল্য ছাড় দেওয়ার ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হবে ১৪১ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১১৯ টাকা ও পাম সুপার তেল ১১০ টাকায় কিনতে পারবেন ভোক্তারা। বর্তমানে বাজারে বর্ধিত মূল্যে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৪৪ টাকা ও খোলা সয়াবিন ১২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সুপার পাম তেলের লিটার ১১৩ টাকা। গত ১৯ এপ্রিল মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে নতুন বর্ধিত দর জানিয়েছিল।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ১৫ মার্চ ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদন দেয়। তখন এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় সর্বোচ্চ ১৩৯ টাকা; যা এর আগে ১৩৫ টাকা ছিল।
অ্যাসোসিয়েশন জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিতভাবে দেশীয় পর্যায়ে ভোজ্যতেলের উৎপাদন, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি, আমদানি পরিস্থিতি এবং স্থানীয় বাজার পরিস্থিতি সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে অতি মাত্রায় মূল্য বৃদ্ধিতে অ্যাসোসিয়েশন ভোজ্যতেলের দাম গড়ে পাঁচ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
এই ৫ টাকা দাম বৃদ্ধির বিষয়টি গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানায় সংগঠনটি। ইতোমধ্যে নতুন দরের তেল বাজারে বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।
অ্যাসোসিয়েশন আরও জানায়, ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ভোজ্যতেলের বাজার মূল্য মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি। দেশের বাজারের ভোজ্যতেলের চাহিদার ৯৫ ভাগের বেশি আমদানির মাধ্যমে পূরণ হয়। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে স্থানীয় বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে যে পরিমাণ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে স্থানীয় বাজারে সে পরিমাণ বৃদ্ধি পায়নি বলে দাবি তেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর।