অনলাইন ডেস্ক: আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বহু কাঙ্খিত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন। এটি বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে।
পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত সড়কটি তার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানমালা শুরুর পাঁচ দিন আগেই চালু করা হচ্ছে। যেটিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে জাতির জন্য উপহার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকা প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার, অতিক্রম করতে সাধারণভাবে সময় লাগবে মাত্র ৪২ মিনিট। আর ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে যেতে সময় লাগবে ২৭ মিনিট। ভাঙ্গা পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হলেও এখনি সরাসরি ভাঙা যাওয়া যাবে না। পদ্মা সেতু হওয়ার পর এর সুফল ভোগ করা যাবে। এখন এ পথ অতিক্রম করতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ১২ কিলোমিটার নৌপথ পাড়ি দিতে হবে। ওই নৌপথ পাড়ি দেওয়ার বিড়ম্বনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন পর্যন্ত পোহাতে হবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ।
সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে মাওয়া পর্যন্ত এবং পাচ্চর-ভাঙা অংশের নির্মাণকাজের জন্য ৬০ হাজার ৩৫৪ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। ২০১৬ সালের মে মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় এবং তা সমাপ্তির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত। কিন্তু তার তিন মাস আগেই মহাসড়কটি সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। এই মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে ৬ কিলোমিটার সেতুর মধ্যে ৪ কিলোমিটারই দৃষ্টিসীমার মধ্যে এসেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগেই মহাসড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হওয়াকে জাতীয় এই প্রকল্পের অনেক বড়ো অগ্রগতি হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে
ঢাকার গুলিস্তান, মিরপুর, গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া পর্যন্ত বাস চলাচল করে। ওই বাসের যাত্রীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াত করেন। নৌপথ পারাপার হয়ে তাঁরা কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে বাসে চড়ে বিভিন্ন জেলায় যান। ওই ঘাট থেকে খুলনা, গোপালগঞ্জ, যশোর, বেনাপোল, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠিসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বাস চলাচল করে। তাঁরা এখন এক্সপ্রেসওয়ের সুফল ভোগ করবেন।