ভোক্তাকন্ঠ প্রতিনিধি: করোনা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষনা করেছে। এটিকে একটি কাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপ বলা যায়। করোনা কালীন সময়ে অর্থনীতি কে আরো বেশি চাঙ্গা রাখতে এই পদক্ষেপ খুবই প্রয়োজনীয়।
কিন্তু প্রণোদনা ঘোষণার পর যে প্রশ্নটি সামনে আসছে তা হলো, এই প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন কীভাবে হবে?
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সব’কটি প্যাকেজই ঋণনির্ভর। শিল্প, সেবা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা—এসব খাতে যে অর্থায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তার সবই ঋণ হিসেবে ব্যবসায়ীদের দেওয়া হবে। ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো ৯ শতাংশ হারে সুদ পাবে। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক দেবে ঋণগ্রহীতা ও বাকি অর্ধেক ভর্তুকি হিসেবে দেবে সরকার।
কিন্তু বর্তমানে ব্যাংকগুলোর তারল্য পরিস্থিতি মোটেও সন্তোষজনক নয়। সুদের হার কমে যাওয়াই কমে গেছে আমানতের প্রবৃদ্ধি।
তাহলে বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো কিভাবে ঋণ দেবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
প্রণোদনা প্যাকেজের আরো একটি বড় সমস্যা হলো, এসব অর্থ কারা পাবেন এবং যথাযথভাবে প্রণোদনার অর্থ দেওয়া হবে কি না। এসব নিয়ে আছে যথেষ্ট সন্দেহে। দেখা যাবে, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যাঁদের পাওয়ার কথা, তাঁরা হয়তো না-ও পেতে পারেন।
এখন প্রশ্ন হলো তারল্যসংকটের মধ্যে থেকেও কিভাবে ঋণ দেবে সরকার। উপায় অবশ্যই আছে। প্রথমত বাংলাদেশ ব্যাংককে বড় আকারে পুনঃ অর্থায়ন কর্মসূচি বা স্কিম চালু করতে হবে, যাতে ব্যাংকগুলোতে তারল্যসংকট না হয়। ওই কর্মসূচি থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২-৩ শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলোকে ধার দেবে। দ্বিতীয়ত, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অর্থ ধার নিতে পারে। সরকারের ঋণ নেওয়া মানে হলো, নোট বা টাকা ছাপানো। সেই টাকা সরকার বিভিন্ন ব্যাংকে আমানত হিসেবে জমা রাখবে। এতে তারল্যসংকট দূর হতে পারে।