নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ এনে দেওয়া, বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ পাইয়ে দেওয়া, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দেওয়া কাদের।
শনিবার (৯ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
হাফিজ আক্তার বলেন, আমরা কাদেরকে একদিনে রিমান্ডে নিয়ে অনেক তথ্যই পেয়েছি। মূলত অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দেওয়া আবদুল কাদের চৌধুরী দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্নচরে। তার বাবা ছিলেন মাঝি। কাদেরের প্রত্যেক উপার্জনই ছিল প্রতারণার মাধ্যমে।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, ১৪ বছর যাবৎ কাদের প্রতারণার মাধ্যমে অঢেল সম্পত্তি বানিয়েছেন। গাড়িতে সচিবালয়ের স্টিকার ও কোটি টাকা দামি প্রাডো গাড়ি নিয়ে চলায় কেউ সন্দেহের নজরে দেখেনি। গুলশান ১ নম্বর সেকশনের জব্বার টাওয়ারে মাসিক পাঁচ লাখ টাকা ভাড়ায় আলিশান অফিস রয়েছে তার। কারওয়ান বাজারেও তার আরেকটি বিলাসবহুল অফিস আছে। গুলশানেও তার দামি ফ্ল্যাট আছে। কাদের এছাড়াও আলোচিত ধনকুবের মুসা বিন শমসের ও ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত জি কে শামিমের আইন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন এসএসসির গণ্ডি না পেরুনো কাদের।
গত বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাতে গুলশান ১-এ জব্বার টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে সততা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের এমডি আব্দুল কাদের, চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার ছোয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এনএসআইর সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে ডিবি গুলশান বিভাগ।