নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ
সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব জানিয়ে এক চুলা ৯২৫ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা এবং দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করার প্রস্তাব জানানো হয়।
এছাড়াও মিটারযুক্ত চুলায় ১২ দশমিক ৬০ টাকা ঘনমিটার থেকে বাড়িয়ে ২৭ দশমিক ৩৭৭৪ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার(২২ মার্চ) গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণশুনানির ২য় দিনে এই প্রস্তাব উপস্থাপন করেন পেট্রোবাংলার প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড।
শুনানির শুরুতে বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল গতকালের ন্যায় বলেন, দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবনার পূর্বে, বৃদ্ধির ফলাফল কি হবে তা চিন্তা করা উচিত ছিলো কোম্পানি গুলোর। আমরা জনগণের স্বার্থে কাজ করি। জনগণের জন্য কাজ করি। জনগণের কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এসময় গ্রাহকদের দুই চুলার গ্যাসের দাম ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা এবং এক চুলার গ্যাসের দাম ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা করার সুপারিশ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
এলএনজি আমদানি ব্যয়, আইওসি হতে ক্রয়কৃত গ্যাসের নীট ব্যয়, দেশীয় গ্যাস উৎপাদনে কোম্পানির ব্যয়,৷ পেট্রোবাংলা চার্জ, এলএনজি অপারেশনাল চার্জ ও অন্য আনুষঙ্গিক ব্যয় বিবেচনায় ভোক্তা পর্যায়ে মূল্যহার বৃদ্ধির প্রস্তাব জানানো হয় কোম্পানি থেকে।
পেট্রোবাংলা উদ্ভাবিত প্রস্তাবকে সরাসরি নাকচ করে দিয়ে মূল্য বৃদ্ধির পরিবর্তে সঞ্চিত টাকা বিইআরসিতে জমা করার প্রস্তাব জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সাবেক সভাপতি ও জ্বালানি উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শামসুল আলম।
এসময় তিনি বলেন, উপরে উল্লেখিত বিষয় বিবেচনা নিলে অর্থাৎ যেসকল সেক্টরের উপর ভিত্তি করে মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব আনা হয়েছে। তা পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে দাম বৃদ্ধি নয় বরং ব্যয়ের তুলনায় আয় বেশি। সুতরাং মূল্য বৃদ্ধি প্রশ্নই আসে না বরং তা অপরিবর্তিত রেখে উদ্বৃত্ত টাকা বিইআরসিতে জমা দেওয়ার প্রস্তাব করেন।