সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
এডিস নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৫ জুন হতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) আওতাধীন ১০টি অঞ্চলে ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে ঢাদসিক কার্যালয়ে চতুর্দশ বোর্ড সভায় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান।
মেয়র তাপস বলেন, আমাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সেই প্রেক্ষিতেই আমরা মনে করি যে আমাদের আরও করণীয় রয়েছে এবং সেভাবেই আমরা এবারের কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছি। কর্মপরিকল্পনায় আলোকে ১ আষাঢ় (১৫ জুন) থেকেই আামদের কার্যক্রম আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু করব। আমাদের ১০টি অঞ্চলে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য আমরা এরই মাঝে নিবেদন করেছি। আশা করছি আমরা অচিরেই পেয়ে যাবো। সেই প্রেক্ষিতে আপনাদের নেতৃত্বে আমরা ১০টি অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব। এছাড়াও আমাদের চিরুনি অভিযান পরিচালিত হবে।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, গতবার আমরা ১ মাস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিচালনা করেছিলাম। এবার সেটা আমরা ২ মাস ধরে পরিচালনা করব এবং এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে আমরা চিরুনি অভিযানগুলো তদারকি করব।
তাপস বলেন, আপনারা যারা বাসাবাড়ির মালিক, স্থাপনার মালিক – এটা আপনাদেরই দায়িত্ব যে, আপনার আঙ্গিনায়, ছাদে, টবে, পরিত্যক্ত মালামালের মধ্যে যাতে কোনো পানি না জমে। বৃষ্টি হলে কোথাও পানি জমেছে কিনা সেটা দেখবেন। পানি জমে থাকলে সেটা ফেলে দিন। ৩ দিনের জন্য অপেক্ষা না করে -নিয়মিত প্রতিদিন, জমা পানি ফেলে দিন।
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে তুলনামূলক সফলতার জন্য ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বোর্ড সভায় কাউন্সিলরদের ধন্যবাদ জানিয়ে এবার আরও বেশি সজাগ থাকার আহবান জানান।
বোর্ড সভায় করপোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ ছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।