ঢাকা, ১৫ জুলাই সোমবারঃ দেশের বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক সহ অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান আছে কিনা তা চারটি প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। গতকাল রোববার ১৪ জুলাই, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদের করা এক রিট আবেদনের ওপর শুনানিতে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ ও বায়োক্যামিকেল রিসার্স ইনস্টিটিউটের পৃথক দুটি ধাপে দুধ পরীক্ষার প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং বিএসটিআইয়ের এন্টিবায়োটিক পরীক্ষার কোনো সক্ষমতা নেই বলে আদালতকে জানানো হলে, বিএসটিআইয়ের নিবন্ধনকৃত বাজারে থাকা ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধের নমুনা, দৈবচয়নের ভিত্তিতে সংগ্রহ করে তা জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ও সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণাগারে পরীক্ষা করে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক এবং বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সরকার এম আর হাসান। অনীক আর হক আদালতকে জানান, ১৯টি প্যারামিটার ধরে যে গবেষণা রিপোর্ট তৈরি করেছেন আ ব ম ফারুক তা আন্তর্জাতিক মানসম্মত। অন্যদিকে বিএসটিআইয়ের সরকার এম আর হাসান স্বীকার করেন, দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টে পরীক্ষার কোনো পদ্ধতি তাদের নেই।
এছাড়া দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, ডিটারজেন্ট আছে কিনা তা পরীক্ষার সক্ষমতা অর্জন করতে বিএসটিআইর ল্যাবরেটরির কত সময় ও অবকাঠামো প্রয়োজন সে বিষয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা একই সময়ের মধ্যে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের নেতৃত্বে দুই দফা গবেষণায় বাজারে থাকা বিভিন্ন কোম্পানির দুধে অ্যান্টোবায়োটিকের উপস্থিতি ধরা পড়ার পর রোববার আদালতের এই নির্দেশ এলো। আগামী ২৩ জুলাই মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।