ঢাকা, ৩০ জুলাই মঙ্গলবারঃ গত রোববার বিএসটিআই অনুমোদিত ১৪টি কোম্পানির সবগুলোকেই পাঁচ সপ্তাহ পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ রাখতে বলেছিল হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ। এই আদেশের একদিনের মাথায় তা স্থগিত চেয়ে মিল্ক ভিটা গতকাল সোমবার আদালতে আবেদন করে, যা চেম্বার বিচারপতির আদালতে আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছিল। আজ মঙ্গলবার মিল্ক ভিটার পর প্রাণ ডেইরি লিমিটেড ও আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিক্রির নিষেধাজ্ঞাও স্থগিত করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।
ফলে বাজারে প্রাণ মিল্ক ও ফার্মফ্রেশ মিল্ক বিক্রিতে আপাতত আর কোনো বাধা থাকছে না। হাইকোর্টে বিএসটিআইর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান। এ বিষয়ে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার অনীক আর হক, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যারিস্টার মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম শুনানি করেন।
গত ১৪ জুলাই এক আদেশে বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সধারী সব ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান আছে কিনা, তা এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করতে চারটি ল্যাবকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
চারটি ল্যাব হলো- ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ও সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণাগার।এরপর চার সংস্থার প্রতিবেদন হাতে পায় বিএসটিআই। এগুলো আদালতে জমা দেয় সরকারি সংস্থাটি।
এছাড়া নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের তৈরি করা (বিসিএসআইআর ও পরমাণু শক্তি কমিশনের ল্যাবে পরীক্ষা করা) ১১ কোম্পানির দুধ পরীক্ষার প্রতিবেদনও আদালতে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে উপস্থাপন করা হয় ঢাবি অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের প্রতিবেদনও।