ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় লঞ্চ না চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন মালিকরা।
শনিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘আমরা ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সরকার এতে সাড়া দেয়নি। কথা ছিল দুপুরের মধ্যে আমাদের ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। মালিকরা বলছেন, লস দিয়ে তারা আর লঞ্চ চালাবেন না। সদরঘাটের টার্মিনাল থেকে সব লঞ্চ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’
গত বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) থেকে ডিজেল-কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে জনজীবনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কায় এ নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে বাস চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। লঞ্চ মালিকরা ভাড়া দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সরকারের কাছে।
বদিউজ্জামান বাদল আরও বলেন, মালিকরা বলছেন, আমাদের কাছে টাকা নেই, তেল কিনতে পারবো না। তাই জাহাজ চালাবো না। তেলের দাম বাড়ানোর পর প্রত্যেক ট্রিপে এক লাখ, দেড় লাখ, দুই লাখ টাকা লস। আমাদের সাহায্য করেন। আমরা বলেছি, সাহায্য তো আমরা করতে পারবো না। তারা বলছেন, তাহলে তো আমরা লঞ্চ চালাবো না।’
এর আগে ৫ নভেম্বর (শুক্রবার) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থা থেকে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের কাছে লঞ্চ ভাড়া দ্বিগুণ করার প্রস্তাব পাঠানো হয়।
প্রস্তাবে প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য ১৫ টাকা বাড়ানোর পেক্ষাপটে লঞ্চ ভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ৩ টাকা ৪০ পয়সা এবং ১০০ কিলোমিটারের বেশি ১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন মালিকরা।