এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সঙ্গে আমরা দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় নিবন্ধিত গ্রাহক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছি। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (ক্যাব) স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে এলপিজি ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর কমিশন গণশুনানির আয়োজন করে।
তিনি বলেন, কমিশন গত ১০ অক্টোবর ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্য এক হাজার ২৫৯ টাকা ও অটো গ্যাসের মূল্য ৮.১২ টাকা বাড়িয়ে ৫৮ টাকা ৬৮ পয়সা নির্ধারণ করে। গণশুনানিতে আমরা আন্তর্জাতিক বাজার, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, সামাজিক অবস্থান ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সমন্বয় করে মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। একথা ঠিক যে, আন্তর্জাতিক বাজারে বিউটেন ও প্রোপেনের মূল্য বেড়েছে। তার মানে এই নয়, ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য এক লাফে ২২৬ টাকা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তাব কমিশন মূল্যায়ন করেনি, ঠিক একইভাবে তাদের নিজস্ব কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির প্রস্তাব ১০৯৮ টাকাও রাখা হয়নি। এটাই প্রতীয়মান হয় যে, জাতীয় স্বার্থ ও জনস্বার্থ মূল্যায়ন না করে কেবল এলপিজি ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায় ছিল গণশুনানির অন্যতম উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম, ডিস্ট্রিবিউশন কমিশন, ডিলার ও রিটেইলারদের জন্য নির্ধারিত কমিশন ছাড়াও খুচরা পর্যায়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে নির্ধারিত দামের চেয়েও অতিরিক্ত মাশুল আদায় করা হয়। এক্ষেত্রে অপারেটরদের দাবি ছিল, এসব চার্জ আরও বাড়ানোর। ১০ অক্টোবর বিকেল থেকে বাজারে প্রতিটি সিলিন্ডারের মূল্য ১৩৫০-১৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের কাছ থেকে। ডিলার রিটেইলাররা গ্রাহকদের কোনো রসিদ প্রদান করছে না বাজার পরিদর্শনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানির মূল্য বাড়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের কাছে আমাদের আহ্বান—দ্রুত বাজার পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।