আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও ফাইজারের মুখে খাওয়ার ওষুধ কার্যকর বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলবার্ট বোরলা।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি এই ওষুধ যে কোনো পরিচিত মিউটেশনের বিরুদ্ধে কাজ করবে। এমনকি ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও এটি কার্যকর। তবে একই সঙ্গে অন্যান্য ওষুধ নিয়ে কাজ করার কথাও জানিয়েছেন বোরলা।
তিনি বলেন, ফাইজারের মুখে খাওয়ার ওষুধ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা সব ধরনের মিউটেশনের বিরুদ্ধে কাজ করবে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের হালকা থেকে মাঝারি লক্ষণের চিকিৎসার জন্য প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের কাছে অনুমোদন চেয়েছে। ফাইজার বলছে, তাদের করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ প্যাক্সলোভিড ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুঝুঁকি কমাতে সক্ষম। ৭৭৪ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর গবেষণা চালিয়েছে প্রতিষ্ঠাটি।
ওমিক্রন কতটা সংক্রামক বা এর তীব্রতার মাত্র কি সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বিজ্ঞানীরা। দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকরা প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত করেন। এরপর অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, জার্মানি, হংকং, ইসরায়েল, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স ও কানাডা, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়।
করোনাভাইরাসের মুখে খাওয়ার ওষুধ তৈরির জন্য শুধু ফাইজারই কাজ করছে না। আরেক ফার্মাসিউটিক্যালস মার্কও যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের কাছে করোনা প্রতিরোধী মুখে খাওয়া অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই পিলও করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু ঝুঁকি কমায়।
এর আগে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং কিছু অঞ্চলে এটি ‘মারাত্মক পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।