নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে পরিস্থিতি খারাপ হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তবে আমাদের এ জাতীয় পরিকল্পনা এখনো নেই। আমরা চাই ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু থাকুক।
দেশের নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বসেছে প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী।
পরীক্ষা হবে দুই শিফটে। সকালের শিফটের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টা থেকে, শেষ হবে ১১টা ৩০ মিনিটে। আর বিকেলের শিফট ২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
এইচএসসি পরীক্ষা সাধারণত প্রতিবছরেরর এপ্রিলে শুরু হলেও এবছর করোনা মহামারীর কারণে বিলম্বে শুরু হয়েছে। এছাড়া আনা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস আর সময়ের কমতি।
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে দেখা যায়, সকাল থেকেই শিক্ষার্থী এবং অভিভাকরা আসছেন।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলা জানা যায়, তারা খুব আনন্দিত এবং উৎপল্লিত। এই করোনার সময় তারা পরীক্ষা দিতে পারছেন এটাও তাদের জন্য অনেক।
কবি নজরুল কলেজ থেকে পরীক্ষা দিতে আসা ইয়াসমিন বলেন, আমরা আসলে চিন্তায় ছিলাম পরীক্ষা হবে কিনা। যেভাবে করোনার হানা ছিলো, তাতে পরীক্ষা দিতে পারছি এটাই আমাদের জন্য সৌভাগ্যের।
রাসেল বলেন, আমাদের প্রস্তুতিও খারাপ না। তবে সময় আরেকটু বাড়ালে ভালো হতো। তবে পরীক্ষা দিতে পারছি এটাই আনন্দের বলে জানান এই শিক্ষার্থী।
নাজমা বলেন, আমাদের মেধা যাছাই অন্যতম একটা মাধ্য হলো পরীক্ষা। এই পরীক্ষা যদি না হয় তাহলে আমরা যে শিক্ষার্থী সেটাই নিজেদের কাছে মনে হয় না। তাই পরীক্ষা হচ্ছে এটা আমাদের জন্য আনন্দের এবং প্রস্তুতিও নিয়েছি ভালো।
অভিভাকরাও জানিয়েছেন তাদের আনন্দের কথা। তারা বলছেন আসলে আমাদের বাচ্চারা করোনার সময় এমনিতেই একটু কম পড়া-লেখা করেছে। তারউপর পরীক্ষাও যদি না হতো একেবারে মেধাশূণ্য হয়ে যেতো। পরীক্ষা হচ্ছে এটা আমাদের সন্তানদের জন্য যেমন আনন্দের, তেমনি আমাদের জন্য ভালো লাগার।
সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকারও রয়েছে পূর্বঘোষণা।